শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে ঢাকা ওয়াসা ও ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি সই হয়। চুক্তি অনুযায়ী পিপিআই (প্রোগ্রাম ফর পারফরমেন্স ইমপ্রুভমেন্ট) কার্যক্রমের আওতায় ঢাকা ওয়াসার বিলিং ও মিটার কার্যক্রম শুরু হয়। উদ্দেশ্য ছিল, ঢাকা ওয়াসার স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার পাশাপাশি সমিতি যেন স্বাবলম্বী হয়।
চুক্তি অনুযায়ী সমিতির অনুকূলে কর্মচারীরা বিলিংবাবদ ৬ থেকে ১০ শতাংশ কমিশন পান। কমিশনের ওই টাকা জমা হয় সমিতির নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। অথচ সেই টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা জেলা সমবায় অফিসের নিজস্ব নিরীক্ষা (অডিট) প্রতিবেদনে দুই অর্থবছরে প্রায় ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে।
অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে সমবায় অফিসের নিরীক্ষা দলের দুই বছরের হিসাব পর্যালোচনার পাশাপাশি পাওয়া অন্যান্য নথিপত্রে প্রায় ৩৫৫ কোটি টাকার অসঙ্গতির তথ্য মিলেছে। ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কারণে দুর্নীতি ও লুটপাটের প্রকৃত চিত্র নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বের হয়ে আসেনি।
তবে, বিশাল অঙ্কের অর্থ আত্মসাতের আরও নমুনা পাওয়ায় বর্তমানে ১০ বছরের হিসাব পর্যালোচনায় বিভাগীয় পর্যায়ে নিরীক্ষা (অডিট) কার্যক্রম চলছে। সব হিসাব পাওয়া গেলে টাকার পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সমিতির সিনিয়র সদস্য ও নিরীক্ষা-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্যেও অর্থ নয়-ছয়ের তথ্য উঠে এসেছে।