শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১১ অপরাহ্ন

আপডেট
সম্পদের হিসাব দিতে হবে রাজউক কর্মকর্তাদের গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থী নিহত মালয়েশিয়া প্রবাসীদের মারধরের ঘটনায় হাইকমিশনের দুঃখ প্রকাশ ময়মনসিংহ বিভাগীয় বইমেলার সমাপনী পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শব্দের চেয়ে দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তত আছে: পুতিন সড়ক দুর্ঘটনায় পরীমনির প্রথম স্বামী নিহত বাংলাদেশ চোখের সেবা সম্প্রসারণে অরবিসের সাথে কাজ করতে আগ্রহী: প্রধান উপদেষ্টা ইসরায়েলি হামলায় একদিনে লেবাননে নিহত ৫৯ কক্সবাজারে বিএনপি নেতা’কে তুলে নিতে ঘর ঘেরাও করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ধাপে ধাপে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে সরকার, জানিয়েছেন হাসান আরিফ
৭২ বছর বয়সেও ভাতের জন্য জিলাপি বিক্রি

৭২ বছর বয়সেও ভাতের জন্য জিলাপি বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক:আব্দুর রহমান শেখ। বয়স ৭২ বছর। এই বয়সেও তাকে রোজগার করতে হচ্ছে দু’মুঠো ভাতের জন্য। একাই ভাজেন জিলাপি, আবার বিক্রিও করেন। মাঝে মাঝে আশেপাশের ছেলেরা একটু সাহায্য করেন। জিলাপি বিক্রি করে প্রতিদিন ২০০-৩০০ টাকা আয় হয় তার। আর তা দিয়েই চলে সংসার।

আবদুর রহমান শেখের বাড়ি ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শিবপুর গ্রামে। তার ভাষ্যমতে, ৫০ শতাংশ জমির মালিক তিনি। এই জমিতে সরকারিভাবে একটি বাড়ি বরাদ্দ পেয়েছেন। সেখানেই দিন শেষে ক্লান্ত শরীরে বিশ্রামের জায়গা আছে। এভাবেই চলে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আর বছরের পর বছর।

আব্দুর রহমানের ২ ছেলে, ৪ মেয়ে। দুই ছেলেই ঢাকায় গার্মেন্টে কাজ করেন। খেয়ে-দেয়ে ভালোই আছেন তারা। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে কিন্তু ছেলেরা বৃদ্ধ বাবা-মাকে না দেখায় শেষ বয়সে বেকায়দায় পড়েন আব্দুর রহমান দম্পতি।

আব্দুর রহমানের সঙ্গে একদিন কথা হয় তার জিলাপির দোকানে। দোকানতো নয়, ভাঙাচোরা ঘরের একটা ভাঙা বারান্দা, যা শিবপুর রেলগেটের সন্নিকটে রেলের জায়গায় অবস্থিত। এ সময় আবেগতাড়িত কণ্ঠে আব্দুর রহমান শেখ বলেন, ‘দুই ছেলে ঢাকায় থাকে, তারা গার্মেন্টে কাজ করে। বউ ছেলেমেয়ে নিয়ে সেখানে থাকে। আমাদের দেখে না।’

আক্ষেপের পরেই নিজেকে সামলে নিয়ে গর্ব করে বলেন, ‘১৩/১৪ বছর ধরে জিলাপি ভাজি। তবে গুড়ের জিলাপি। বোয়ালমারীতে একমাত্র আমিই গুড়ের জিলাপি ভাজি। আমার কাস্টমারের অভাব নেই। প্রতিদিন যে টাকা লাভ থাকে তাতে কোনোমতে সংসার চলে যায়।’

জীবিকা নিয়ে মুখে কথা বললেও থেমে থাকে না আব্দুর রহমানের হাতের কাজ। অভাব যে মানুষটার নিত্যসঙ্গী তার মুখের চওড়া হাসি দেখে তা বোঝা দায়।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |