শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন

আপডেট
এএসপি আনিস হত্যার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন ২ নভেম্বর

এএসপি আনিস হত্যার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন ২ নভেম্বর

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার (৩ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।এর আগে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর জ্যেষ্ঠ এএসপি মো. আনিসুল করিম শিপন রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। ওই সময় হাসপাতালে তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। ঘটনার পরদিন আদাবর থানায় মামলা দায়ের করেন আনিসের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ। এতে ১৫ জনকে আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৮ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আদাবর থানার পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।তবে এ মামলার আসামি ডা. নুসরাতের নাম অভিযোগপত্রে আসেনি। জ্যেষ্ঠ এএসপি আনিসুলের পরিবারের ধারণা, ডা. নুসরাত ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এজন্য মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন আনিসের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ। পরে আদালত তা মঞ্জুর করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ্য করা হয়, চিকিৎসার জন্য ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুরে আনিসকে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেলা পৌনে ১২টার দিকে আরিফ মাহমুদ জয় আনিসকে ওয়াশরুমে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হাসপাতালের দোতলায় নিয়ে যান। ওই সময় আনিসের বোন কথা বলতে চাইলে আরিফ মাহমুদ জয় ও রেদোয়ান সাব্বির বাধা দেন। একপর্যায়ে হাসপাতালের কলাপসিবল গেট আটকে দেওয়া হয়। এরপর আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা পরিচয় আরও কয়েকজন আনিসকে চিকিৎসার কথা বলে দোতলার একটি অবজারভেশন রুমে নিয়ে যান।

পরে ওই রুমের মেঝেতে জোরপূর্বক উপুড় করে শুইয়ে তিন-চারজন হাঁটু গেড়ে আনিসের পিঠের ওপর বসেন। কয়েকজন তার দুই হাত পিঠমোড়া করে ওড়না দিয়ে বাঁধেন। কয়েকজন আসামি কনুই দিয়ে আনিসের ঘাড়ের পেছনে ও মাথায় আঘাত করেন। পরে আসামিদের মধ্যে একজন আনিসের মাথার ওপরে চেপে বসেন ও অন্য সবাই মিলে তার পিঠ, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল-ঘুষি মারেন। ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে আনিস নিস্তেজ হয়ে পড়েন, যা হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দৃশ্যমান।

নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার পর আসামি আরিফ মাহমুদ জয় নিচে এসে আনিসের পরিবারের সদস্যদের ইশারায় ওপরে যেতে বলেন। বাবা, ভাই ও বোন অবজারভেশন রুমে গিয়ে আনিসকে নিস্তেজ অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে জরুরিভিত্তিতে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পর্যবেক্ষণের পর আনিসকে মৃত ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |