শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন
নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি : নালিতাবাড়ীতে কন্যা শিশুকে (১২) অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে বাবু মিয়া (২৯) নামে এক যুবকের ৪৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) ও অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সাজা দেওয়া হয়। উভয় সাজা একই সাথে চলবে।
বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেলে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কামরুন নাহার রুমী এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডিত বাবু নালিতাবাড়ী উপজেলার বনপাড়া গ্রামের মোফাজ্জল হকের ছেলে। অপহরণে সহায়তার দায়ে বাবুর পিতা মোফাজ্জল হক (৫৪) ও তার আত্মীয় লুৎফা বেগম (৩৪) নামে আরো ২ জনকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, নালিতাবাড়ী উপজেলার বনপাড়া গ্রামের মোফাজ্জল হক তার ছেলের জন্য পার্শ্ববর্তী গেরাপচা গ্রামের ওই শিশুকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তার মা বাবা তা প্রত্যাখান করে।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৯ সালের ৫ মে ওই শিশুকে তার বাবা মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে মোফাজ্জল হক ও লুৎফার সহযোগিতায় বাবু চানাচুরের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খাইয়ে তাকে অজ্ঞানের পর অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে এক বাসায় আটকে রাখে।
পরে সেখানে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে বাবু। এদিকে শিশুর পিতা মেয়েকে না পেয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ একই বছরের ২৯ মে অপহৃতা শিশুকে উদ্ধার করে। তদন্ত শেষে ওই ৩ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জুহুরুল হক।
বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার ধর্ষক বাবু মিয়া, তার পিতা মোফাজ্জল হক ও লুৎফা বেগমকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন আদালত।