ফেনী প্রতিনিধি : প্রেমের টানে ৫৫ বছরের আমেরিকান নারী চেন্দোরা বক্স বাংলাদেশের ফেনী জেলার সোনাগাজীতে এসে জামশেদ আলম রাজু (২৫) নামে এক যুবককে বিয়ে করে ঘর বেঁধেছেন। তিনি আমেরিকার ভার্জিনিয়া শহরের বাসিন্দা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে তাদের পরিচয় বলে জানা গেছে। ফেসবুকে পরিচয়ের পর প্রায় পাঁচ বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ের। অতঃপর বাংলাদেশে এসে ওই যুবককে বিয়ে করেন আমেরিকান ওই নারী। এর আগে তিনি কাউকে বিয়ে করেননি।
এটিই ছিল তাদের প্রথম বিয়ে। জামশেদ আলম রাজু ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সফরপুর গ্রামের মফিজ চেয়ারম্যান বাড়ির মৃত রুহুল আমিনের ছেলে। তিনি আড়তে চাউলের ব্যবসায়ী। চার ভাই এক বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। গত শনিবার ১জুন রাতে বাংলাদেশে আসেন চেন্দোরা বক্স। বাংলাদেশে এসে সোমবার দুপুরে খ্রিস্ট ধর্ম তাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নতুন নাম রাখেন লামিয়া। দুপুরেই ফেনী শহরের হোটেল বেস্ট ইনে রাজুর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন চোন্দোরা বক্স। জামশেদ আলম রাজু জানান, পাঁচ বছর পূর্বে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাদের চেনা-পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়। এরপর ধীরে ধীরে ভালো লাগা থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে দুজনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। পারিবারিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
রাজু আরও বলেন, চেন্দোরা বক্স ভালোবেসে এখানে এসেছে। ভিন্ন পরিবেশে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিচ্ছে। খাবার নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। কিছু কিছু বাংলাও শিখেছে। পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলছে। তার বয়স আমার চেয়ে বেশী জেনেও আমরা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি। এখন সুখী হতে চাই। সুখে-দুখে আমরা দুজন পৃথক না হয়ে একসঙ্গে থাকতে চাই বলে অঙ্গীকার করেছি। এ জন্য তিনি সকলের দোয়া প্রার্থনা করেন। চেন্দোরা বক্স বলেন, আমি ভালো আছি, আমার ভালো লাগছে। বাংলাদেশে আসার আগে কিছুটা শঙ্কা ছিলো। এ দেশ সম্পর্কে অনেকে খারাপ ধারণা ছিলো। এখন দেখি সে সব সত্য নয়। এ দেশ আমার ভালো লাগছে। রাজুর পরিবারের সদস্যদের আথিতিয়তা নিয়ে আমি খুবই খুশি। রাজুর চাচা আজগর হোসেন বলেন, আমরা পারিবারিকভাবে এ বিয়ে মেনে নিয়ে ওদের নতুন সংসার গুছিয়ে দিচ্ছি। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখী হোক। কনের বয়স বরের চেয়ে দ্বিগুণ হলেও ছেলেটি সবজেনে বুঝে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। ছেলেটি আমেরিকায় গিয়ে প্রতিষ্ঠিত হোক।