বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন

সাবেক সচিব ড.মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

সাবেক সচিব ড.মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

ফয়সাল হাওলাদার : যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেন ময়মনসিংহ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক (ডিডি) রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি বাদী হয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে লিখিত আবেদন করে বিচার চেয়েছেন। গত ৬/১০/২৪ ইং তারিখে অভিযোগটি জমা হয়েছে। এর একটি অনুলিপি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, জনপ্রশাসন সচিব এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব বরাবর জমা হয়েছে। যার একটি কপি প্রতিদিনের কাগজের হাতে এসেছে।

এ ব্যাপারে মূল অভিযুক্ত সাবেক সচিব ড. মহিউদ্দিনের কাছে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এ অভিযোগকে অস্বীকার করে নিজেকে একজন সৎ সরকারি চাকরিজীবি হিসেবে দাবি করেন। এছাড়াও এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন। অপর অভিযুক্ত একই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ডাঃ জহিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

ভুক্তভোগী সরকারি কর্মকর্তা ডিডি রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া তার লিখিত বক্তব্যে সাবেক সচিব ড. মহিউদ্দিন এবং তার সহযোগী আরেক উপ সচিব ডাঃ জহিরুল ইসলামকে সকল দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মূল অশ্রয়দাতা হিসেবে অবহিত করেন।

অভিযোগপত্রের প্রথমেই সাবেক সচিব ড. মহিউদ্দিন ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ডাঃ জহিরুল ইসলামকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের নীল নকশা বাস্তবায়নকারি উল্লেখ করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি প্রকল্পসহ বিভিন্ন বিভাগে অদৃশ্য এক সিন্ডিকেট গড়ার কথা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে । ছাত্র জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে দায়িত্ব নিয়ে বর্তমান সরকার যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিবকে রদবদল করা হয়। কিন্তু ডাঃ জহিরুল ইসলামের কোন পরিবর্তন হয়নি এখনও।

তিনি বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে এ সিন্ডিকেটের মূল হোতা হিসেবে থেকে দীর্ঘ প্রায় ২ বছর যাবত এ বিভাগে বিভিন্ন ধরনের বদলি বাণিজ্য, সিন্ডিকেট, কর্মকর্তাদের হয়রানি, যুব মন্ত্রণালয়ের হরিলুট ও সারা দেশের ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি প্রকল্পে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও দুর্নীতি করেছেন।
ড. মহিউদ্দিন সচিব থাকাকালে মন্ত্রণালয়ে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি অভিযোগ দাখিল করেন একজন ভুক্তভোগী কর্মকর্তা।
ওএসডি হওয়া সাবেক সচিব ড. মহিউদ্দিনের সহযোগিতায় সারা দেশের ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি প্রকল্পে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা দুর্নীতি ও লুটপাট করেছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা হলেও হঠাৎ গায়েব হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, সাবেক যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দিনের সঙ্গে এ প্রতিবেদক যোগাযোগ করতে চাইলে তাদেরকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

 

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |