সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন এই পথে যাতায়ত করা যাত্রীরা।
শনিবার সকাল ৯টা দিকে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস ও মালেকে বাড়ি এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কলম্বিয়া গার্মেন্টেস নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। দুপুর পৌনে একটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছিল।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শ্রমিক ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকায় অবস্থিত টি এন জেড অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের গত তিন মাসের বেতন বকেয়া আছে। শ্রমিকেরা তিন মাস ধরেই বেতন দাবি করলেও কর্তৃপক্ষ ‘দিচ্ছি-দেব’ বলে কালক্ষেপণ করছে। ২৮ অক্টোবর শ্রমিকেরা আন্দোলন করলে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করে। তখন পুলিশ জানায়, নভেম্বরের ৩ তারিখ বেতন পরিশোধ করা হবে। সেই দিন শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ৫ নভেম্বর আবার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করলে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এ বিষয়ে সমাধান করার আশ্বাস দিলে তারা ফিরে যান। মাসের ৯ তারিখ হয়ে গেলেও শ্রমিকেরা বেতন পাচ্ছেন না। তা ছাড়া কারখানা বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ আছে। এ কারণে আজ সকালে আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। একপর্যায়ে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। এতে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তীব্র দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকেরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শ্রমিক বলেন, তিন মাস ধরে তারা বেতন পাচ্ছেন না। সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। এর আগে আন্দোলন করেছেন, তখন পুলিশ বলেছিল, বেতন আদায় করে দেবে। কিন্তু কিছুই হয়নি।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, কারখানা কর্তপক্ষ একাধিকার বেতন দেওয়ার সময় নিয়েও সেই কথা রাখেনি। মালিককে নিয়ে বিজিএমইএ ভবনে বৈঠক হয়েছে তারপরও বেতন দিচ্ছে না। আমরা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
এদিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামের আরেকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সকাল থেকে ১৭ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। তবে তারা কোনো সড়ক অবরোধ করেননি।
কোনাবাড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে।