বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৬ অপরাহ্ন
রাশেদুল ইসলাম আপেল, নীলফামারীঃ বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিশের মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, অবৈধ সৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০ বছর বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহনের রাজনীতি করেছে। তার বিশ্বাস ছিলো এদেশের মানুষ তার বাবাকে অযথাই হত্যা করেছে। আর এ কারনে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কতগুলো মানুষের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলো। সে ১৯৭৫ সালেই আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম গুলোতে সাক্ষাতকারে বলেছিলো যারা তার বাবাকে হত্যা করেছিলো সে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহন করবে।
নীলফামারীতে বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিশের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকেলে নীলফামারী পৌরসভা মাঠে উক্ত সমাবেশের আয়োজন করেন খেলাফতে মজলিশ নীলফামারী জেলা শাখা।নীলফামারী জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা গোলাম রব্বানী এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিশের মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হক।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খেলাফতে মজলিশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমেদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিনী, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এনামুল হক মুসা সহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মামুনুল হক বলেন, ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর মারা যাওয়ার পর তার বাকশালের সাড়ে তিন বছরের কালো শাসনে নিপিড়িত বাংলাদেশের মানুষ সেদিন উল্লাস করেছিলো। যে কারনে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহন করার জন্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে এসেছিলো। ৫০ বছর সে শুধু প্রতিশোধ গ্রহন করেছিলো। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিনত করেছিলো।
মামুনুল হক আরো বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে না দেখে অন্য আরেকটি দেশের অঙ্গরাজ্য করার পরিকল্পনায় মেতেছিল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি তৃপ্ত ছিলেন না, তিনি তিলকওয়ালী মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তৃপ্ত ছিলো। কারন তিনি বাংলাদেশকে বিভক্তির রাজনীতি করেছিলেন। সেই সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের যে পলিসি ও ষড়যন্ত্রের যে নীতি ছিলো ‘ভাগ করো এবং শাসন করো’ এই নীতি প্রয়োগ করে বাংলাদেশের মানুষকে সে ঐক্যবদ্ধ থাকতে দেয়নি। শেখ হাসিনার পছন্দের যিনি সে মুক্তিযোদ্ধা আর যে অপছন্দের সে রাজাকার। আর এই রাজাকার ইস্যুতেই সৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন হলো।