শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন

আপডেট
শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের অপেক্ষায় লঞ্চ-স্পিডবোট

শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের অপেক্ষায় লঞ্চ-স্পিডবোট

দুই মাস বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) থেকে অচল অবস্থা কাটিয়ে পুনরায় শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌপথে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচলের কথা রয়েছে। তবে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঘাট থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। ফলে লঞ্চগুলো যাত্রীদের অপেক্ষায় রয়েছে। আজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃপক্ষ পুনরায় এসব নৌযান চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে বুধবার এই রুটে পরীক্ষামূলক লঞ্চ চালিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। বিকেলে ঘাট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে শিমুলিয়া থেকে মাঝিকান্দি ঘাটে ছেড়ে যায় একটি লঞ্চ। সফলভাবে লঞ্চটি মাঝিকান্দি ঘাটে পৌঁছায়। এ ব্যপারে মাঝ পদ্মায় নাব্যতা সংকটসহ অন্যান্য বিষয় পর্যবেক্ষণের লক্ষে বুধবার (২৪ আগস্ট) এই নৌরুটে পরীক্ষামূলক লঞ্চ চালিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিকেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে শিমুলিয়া থেকে মাজিরকান্দি ছেড়ে যায় একটি লঞ্চ। সফলভাবে লঞ্চটি মাজিরকান্দি ঘাটে পৌঁছায়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের বন্দর কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর যাত্রী সংকটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচলে অচলাবস্থা তৈরি হয়। এতে বিড়ম্বনায় পড়েন দূর দূরান্তের যাত্রীরা। এছাড়াও ঘাটকেন্দ্রিক রাজস্ব আদায় চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আগে লোকাল বাসগুলো যাত্রী পরিবহন করে ঘাট পর্যন্ত পৌঁছে দিতো। তবে পদ্মা সেতু চালুর পরে সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলোতে তাদের সেবা বন্ধ করে ফেলায় যাত্রী ভোগান্তি চরমভাবে তৈরি হয়েছে। শাহাদাত হোসেন বলেন, যাত্রী ভোগান্তি নিরসনে ঘাটমুখী বিভিন্ন পেশার জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে ঘাট ব্যবস্থাপনায় প্রাণ ফিরিয়ে আনতে বিআইডব্লিউটিএ থেকে নৌযান চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের সঙ্গে শিমুলিয়া ঘাটমুখী বিভিন্ন লোকাল বাস মালিক সমিতি, স্পিডবোট মালিক সমিতি, লঞ্চ মালিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট ইজারাদাররা একমত হয়েছেন। তিনি বলেন, শুরুতে শিমুলিয়া থেকে মাঝিকান্দি নৌপথে যাত্রী পারাপারে ৩০টি লঞ্চ ও ৩০-৪০ স্পিডবোট চলাচল করবে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হলে কার্যত অচল হয়ে পড়ে শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌপথ। এ কারণে ওই ঘাট থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |