শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন

আপডেট
মির্জা সোবেদ আলী ভুয়া চেক ইস্যু করেছেন, তাকে অ্যারেস্ট করার জন্য স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : সিনিয়র সচিব

মির্জা সোবেদ আলী ভুয়া চেক ইস্যু করেছেন, তাকে অ্যারেস্ট করার জন্য স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : সিনিয়র সচিব

মির্জা সোবেদ আলী ভুয়া চেক ইস্যু করেছেন, তাকে অ্যারেস্ট করার জন্য স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : সিনিয়র সচিব

ফয়সাল হাওলাদার: জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) পদায়নকে কেন্দ্র করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান ও একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জিয়া উদ্দিনের ম্যাসেজ আদান প্রদান নিয়ে দৈনিক কালবেলা পত্রিকা যে খবর প্রকাশ করেছে সেটিকে ‘ফেক নিউজ’ বলে উল্লেখ করেছেন মোখলেস উর রহমান। এই খবরকে তিনি ‘কোনও গুরুত্ব দিচ্ছেন না’ বলেও জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় মোখলেস উর রহমান তার অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, খবরে যে মোবাইলের কথা বলা হয়েছে সেটি আইফোন। আইফোন কি আমি ব্যবহার করি? আমি ব্যবহার করি স্যামসাং। উনারা কে কী দেখালো সেটা উনাদের কাছে জিজ্ঞেস করবেন। আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। সরকার যে মোবাইল ফোন দিয়েছে, আমি সেটাও ব্যবহার করি না। আমি আমার নিজের নম্বরই ব্যবহার করি।

এ বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্ট্যান্টবাজি নিউজ করতে চাইলে আমাকে এ ধরনের প্রশ্ন করতে পারেন, যার বিন্দু-বিসর্গ সত্যতা নেই। আমাকে এই কোশ্চেন করার আগে নিজেকে প্রশ্ন করেন কতটা যৌক্তিক হচ্ছে আপনার এই কোশ্চেন করা। পুনরায় কোনও পদক্ষেপ নেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে তিনটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কার কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এ জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মির্জা সোবেদ আলী রাজা ভুয়া চেক ইস্যু করেছেন তাকে অ্যারেস্ট করার জন্য স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে সে অ্যারেস্ট হবে, আপনারা নিউজ করতে পারবেন। আর বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে এ ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।

তিনি বলেন, যারা এটা করেছে তাকে আমরা কতটা গুরুত্ব দেই? একটা রাস্তার লোক অনেক কথা বলতে পারে, তাই বলে রাস্তার লোকের পেছনে আমি দৌড়াবো? আমরা সরকারের পজিশনে থেকে জনগণের সঙ্গে কাজ করি। যেভাবে আছি সেভাবেই কাজ করবো যতদিন আল্লাহ হায়াতে রাখে। তিনি বলেন, অভিযোগ যিনি করেছেন এবং যে অভিযোগ করেছেন, এটিকে আমি মূল্যহীন মনে করি।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদায়ন নিয়ে সচিবালয়ে আন্দোলন-বিক্ষোভ হয়েছে। এসময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিবের (এপিডি) কক্ষ থেকে ৩ কোটি টাকার একটি চেক উদ্ধার করা হয় বলে জানানো হয় দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে। পদায়ন হওয়া এক জেলা প্রশাসকের পক্ষে ওই যুগ্ম সচিবকে চেকটি দেন এক ব্যবসায়ী। তবে কাঙ্ক্ষিত জেলায় পদায়ন না হওয়ায় চেকের বিপরীতে টাকা জমা দেননি ডিসি। ঘটনা ফাঁস হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ওই ব্যবসায়ী। বিষয়টি নিয়ে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে বলেও ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এরপর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরমধ্যে ৩ অক্টোবর দৈনিক কালবেলা প্রকাশিত আরেকটি খবরে বলা হয়, খোদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং দুজন যুগ্ম সচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও আলী আযম সরাসরি প্রশাসনে নিয়োগ-পদায়ন নিয়ে দুর্নীতিতে জড়িত। হোয়াটসঅ্যাপে মোখলেস উর রহমান ও জিয়াউদ্দিন আহমেদের মধ্যে কথোপকথনের কিছু স্ক্রিনশটও প্রকাশ করা হয়।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |