মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ন

ক্রিমিয়ায় রুশ সামরিক ঘাঁটির কাছে বড় বিস্ফোরণ

ক্রিমিয়ায় রুশ সামরিক ঘাঁটির কাছে বড় বিস্ফোরণ

ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। সেখানকার রুশ প্রশাসনের প্রধান এমন তথ্য দিয়েছেন। বুধবার বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, ক্রিমিয়ায় নিযুক্ত রুশ প্রশাসনিক প্রধান সের্গেই আকসিয়নভ তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন যে বিস্ফোরণগুলো উপদ্বীপের পশ্চিম উপকূলে নভোফেডোরিভকার কাছে সাকি সামরিক ঘাঁটিতে হয়েছিল।

পরে রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, গোলাবারুদ বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে। তবে এখন গোলাবারুদ রাখার ওই গুদামঘরে কোনো আগুনের প্রভাব নেই। অর্থাৎ, সেখানে লাগা আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা রিয়া নিউজ এজেন্সি তাদের প্রতিবেদনে এমন তথ্য দিয়েছে। তবে এ বিষয়টি বিবিসির পক্ষে স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

২০১৪ সালে মস্কো ইউক্রেনের এ ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে নিজ ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করেছিল। এটা রাশিয়ান পর্যটকদের কাছে একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে যে বিস্ফোরণের কারণে ধোঁয়া উঠার সঙ্গে সঙ্গে ক্রিমিয়ার সমুদ্র সৈকত থেকে লোকজন পালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ৩টা ২০ মিনিট থেকে তারা ১২টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন।

ওই অঞ্চলে পৌঁছানোর পর সের্গেই আকসিয়নভ বলেন, ‘বিস্ফোরণস্থলের চারপাশে পাঁচ কিলোমিটার (তিন মাইল) এলাকায় সংরক্ষিত এলাকা সৃষ্টি করা হয়েছে। এখানে আপতত সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ।

ডজড টিভি চ্যানেলের সঙ্গে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোদোলিয়াক বলেছেন যে এ বিস্ফোরণের জন্য কিয়েভ দায়ী নয়।

এর আগে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ব্যঙ্গাত্মক বিবৃতি পোস্ট করেছিল যা মস্কভা যুদ্ধজাহাজ ডুবে যাওয়া এবং অন্যান্য রুশ সামরিক বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দেয়। তারা রাশিয়াকে অগ্নি নিরাপত্তা বিধি এবং বিপদজনক জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ করার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে।

এদিকে ক্রিমিয়ার কথা উল্লেখ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার রাতের ভিডিও ভাষণ প্রদান করেছেন। তবে তিনি কোনো বিস্ফোরণের কথা সরাসরি উল্লেখ করেননি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ক্রিমিয়া ইউক্রেনের অংশ। ওই এলাকার দাবি আমরা ছাড়ব না।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |