বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন

আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমের মূল ভিত্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা: শিক্ষামন্ত্রী

আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমের মূল ভিত্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশে যে অসম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক চেতনা তৈরি হয়েছিল, শিক্ষার্থীরা যেন সেই চেতনা ধারণ করে বড় হতে পারে সেই উপযোগী করেই নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করা হয়েছে। আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমের মূল ভিত্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এর ওপরে ভিত্তি করে যেন আমাদের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানমনস্ক, প্রযুক্তিবান্ধব ও মানবিক সৃজনশীল মানুষ হয়।

আজ মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বিকালে শাহবাগ জাতীয় যাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে শহীদ ডা. আলীম চৌধুরীর সহধর্মিণী শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী লিখিত ও সম্পাদিত এবং মানসী কায়েস ও ফারাহ নাজ অনুদিত ড. আলিম: এ মার্টায়ার অব ১৯৭১ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা দেশের মুক্তিযোদ্ধার বিরোধিতা করেছিল, তারা ক্ষমতায় এসে বিকৃতি করেছে। শুধু তাই নয় দেশের বাহিরে অর্থ দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করে ইতিহাস বিকৃত করছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শ্যামলী নাসরীন চৌধুরীর। এ সময় প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোদাচ্ছের আলী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরফুদ্দিন আহমেদ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দোপাধ্যায়, সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাতিঘর প্রকাশনীর নির্বাহী কর্মকর্তা জাফর আহমেদ রাশেদ ও বইটির অনুবাদক ফারাহ নাজ।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের মুক্তিযোদ্ধার সঠিক ইতিহাস দেশের বাহিরে না জানানোর কারণে আমাদের গণহত্যার স্বীকৃতি পাওয়া সম্ভব হয়নি। বহির্বিশ্বে যা জানানো হয়েছে তা অসম্পূর্ণ ও বিকৃত। আবার কোথাও কোথাও গণহত্যার যে সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। আমরা চেয়েছি বাংলাদেশের গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। এর জন্য সরকারি কার্যক্রম চলমান আছেও বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক শারফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ডা. আব্দুল আলীম চৌধুরী আল-বদর বাহিনীর প্রধান আব্দুল মান্নানের হাতে নিহত। তারা মনে করেছিল যুদ্ধে জয়ী হওয়ার সম্ভবনা নাই, ঠিক তখনি দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। যারা একাজে জড়িত ছিল তাদের অনেকের বিচার করতে পেরেছি। কিন্তু আরও অনেকে রয়ে গেছে। তাদের সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |