শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, এ বছরের জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ কমেছে। চাল ও তেলের দাম কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। আজ বুধবার (৩ আগস্ট) পরিকল্পনা কমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, পরিকল্পনা রয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের বেশি ব্যবহৃত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে আলাদা হিসাব করবো। জুলাইয়ের মূল্যস্ফীতি কমায়, সার্বিকভাবে জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ সেটা জুলাই ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। আগস্টে মূল্যস্ফীতি আরও কিছুটা কমবে বলে আশা করছি। ৪২২টি দ্রব্য নিয়ে মূল্যস্ফীতি হিসাব করা করা হয়েছে।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, অনেকে বলেছিল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে। তাদের জন্য বলতে চাই, আমরা শ্রীলঙ্কা হইনি, হবো না। মূল্যস্ফীতির হার কমতে শুরু করেছে। আপনারা দেখছেন- খাদ্যের জাহাজ রাশিয়া থেকে সাগরে ভাসতে ভাসতে আমাদের তীরে আসবে। তেল, চাল ও গমের দাম কমছে। সামনে মূল্যস্ফীতির কমতির ধারা অব্যাহত থাকবে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। আমরা জানি, মূল্যস্ফীতি বাড়লে মানুষের কষ্ট হয়। ৪২২টি পণ্যের গড় করে মূল্যস্ফীতির তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বিবিএসের তথ্যে মাসওয়ারী পেঁয়াজ, ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, ফল, তামাক, দুগ্ধজাতীয় পণ্য এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর দাম কিছুটা কমেছে। ডিম, শাকসবজি ও মসলা জাতীয় পণ্যের দামও কমেছে বলে দাবি সংস্থাটির। খাদ্য বহির্ভুত খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে জুলাই মাসে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ হয়েছে, জুন মাসে যা ছিল ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবাখাতের মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।