বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ৩০ জনেরও অধিক গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ক্যামেরা, ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে মোবাইল ফোন। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থা (চসাস)। একইসাথে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থা’র সভাপতি সৈয়দ দিদার আশরাফী ও সাধারণ সম্পাদক ওসমান এহতেসাম স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: হরতাল : বায়তুল মোকাররমে শিকড় পরিবহনের বাসে আগুন
বিবৃতিতে চসাস নেতৃবৃন্দ জানান, রাজধানীতে একই দিনে তিন বৃহৎ রাজনৈতিক দলের সমাবেশ থাকায় সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যুসহ শতাধিক পুলিশ আহত হয়েছেন। মুখোমুখি উত্তেজিত দুই দলের সংঘর্ষে পদদলিত হয়ে আহত হয়েছেন ৩০ জনেরও অধিক সাংবাদিক।সাংবাদিকদের ওপর এহেন হামলা উদ্দেশ্য প্রণোদিত, উদ্বেগজনক। পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটার আশ্বাস দেয়া হলেও প্রতিটি ঘটনায় সাংবাদিকদের টার্গেট করা হচ্ছে। পরিচয় দেয়ার পরও পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকদের ওপর তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করছে।’
আহত সাংবাদিকরা হলেন- দৈনিক কালবেলার অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক রাফসান জানি, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার জনি রায়হান, আবু সালেহ মুসা, রবিউল ইসলাম রুবেল ও তৌহিদুল ইসলাম তারেক, দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ এর স্টাফ রিপোর্টার মোঃ পারভেজ খান রাজন, বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক সালমান তারেক শাকিল, নিজস্ব প্রতিবেদক জোবায়ের আহমেদ ও ফটো সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন, নিউ এইজের বিশেষ প্রতিনিধি আহমেদ ফয়েজ, দেশ রূপান্তর পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আরিফুর রহমান রাব্বি, সংবাদ সংস্থা এএফপির প্রতিবেদক মুহাম্মদ আলী মাজেদ, শেয়ার বিজের প্রতিবেদক হামিদুর রহমান, ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদক সিরাজুম সালেকীন, ব্রেকিং নিউজের অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক কাজী ইহসান বিন দিদার ও আহসান হাবিব সবুজ এবং একুশে টিভির প্রতিবেদক তৌহিদুর রহমান ও ক্যামেরা পারসন আরিফুর রহমান, দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়ার রিপোর্টার তানভীর আহাম্মেদ ও শেখ নাসির, দৈনিক ইনকিলাবের ফটোসাংবাদিক এফ এ মাসুম, গ্রীন টিভির বিশেষ প্রতিনিধি রুদ্র সাইফুল্লাহ ও ক্যামেরাম্যান আরজু, ভোরের কাগজের ফটো সাংবাদিক মাসুদ পারভেজ আনিস, নুরুজ্জামান শাহাদাৎ ও ক্যামেরাপারসন আরিফুল ইসলাম পনি, কালের কণ্ঠের জ্যেষ্ঠ ফটো সাংবাদিক শেখ হাসান ও ফটো সাংবাদিক লুৎফর রহমান, দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের ভিডিও জার্নালিস্ট তাহির জামান প্রিয়, দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টি ফোর ডট কমের সিনিয়র রিপোর্টার ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ সাঈদ খান, দৈনিক আমাদের কণ্ঠে সিনিয়র রিপোর্টার ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী পরিষদ সদস্য রাজু আহমেদ, বাংলানিউজের জাফর আহমেদ, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার আমিরুল ইসলাম ওমর এবং ফ্রিল্যান্সার মারুফ।
বিবৃতিতে চসাস নেতারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে যারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়, তারা যেই হোক না কেন তাদের পরিচয় সন্ত্রাসী। এ সন্ত্রাসীরা দেশ ও জাতির শত্রু।
সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানান তারা। সেই সাথে দুইদলের অনড় একদফা থেকেও বের হয়ে আসার আহ্বান জানান নেতারা।