শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন

আপডেট
লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জাবির হাজারো শিক্ষার্থী

লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জাবির হাজারো শিক্ষার্থী

লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জাবির হাজারো শিক্ষার্থী

শহিদুল্লাহ মনসুর: তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। হিট স্ট্রোকে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। চরম বিপাকে শ্রমজীবীরা। হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনে। অসহনীয় তাপমাত্রায় ঘরে-বাইরে কোথাও নেই স্বস্তি। তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে।এমন এক ভয়ানক পরিস্থিতিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গত কয়েকদিন বারবার লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে হাজারো শিক্ষার্থী। একদিকে গ্রীষ্মের খরতাপে দিনের বেলায় বাইরে বের হওয়া কঠিন। অন্যদিকে আবাসিক হলগুলোতে লোডশেডিংয়ের কারণে শান্তিতে থাকতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। বিরূপ প্রভাব পড়ছে শ্রেণিকক্ষের পাঠদানে ও প্রশাসনিক কাজে। এছাড়া কিছু বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলমান থাকায় ঠিকমতো প্রস্তুতি নিতে পারছেনা অনেক শিক্ষার্থী।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হল, বিভাগের ক্লাসরুমসহ সর্বত্র নিয়মিত লোডশেডিং হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে। গত এক সপ্তাহে নিয়ম করে দিনে তিন থেকে পাঁচবার পর্যন্ত লোডশেডিং হয়েছে। একেকবার লোডশেডিং হলে বিদ্যুৎ ফিরে আসতে ন্যূনতম একঘণ্টা সময় নিচ্ছে।

আবার কখনও কখনও বাড়ছে সময়ের স্থায়িত্ব। বারবার লোডশেডিংয়ের ফলে একদিকে শিক্ষকরা পাঠদানে সমস্যায় পড়ছেন। অপরদিকে তীব্র গরমে শ্রেণিকক্ষে মনোযোগ ধরে রাখতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। এছাড়া অনেক বিভাগে বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলমান রয়েছে। ফলে ঠিকমতো পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। শুধু শ্রেণিকার্যক্রম নয়, নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজেও। প্রশাসনিক অনেক কাজ অনলাইন বেজড ও ডি-নথিভুক্ত হওয়ায় সুষ্ঠুভাবে কার্য সম্পাদন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন কর্মকর্তারা। গত কয়েক মাসের তুলনায় বর্তমানে লোডশেডিংয়ের হার বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের স্নাতকোত্তরের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘কয়েকদিন পর থেকে ফাইনাল পরীক্ষা শুরু। একটু যে ঠিকমতো প্রস্তুতি নিবো তাও সম্ভব হচ্ছে না। দিনে প্রচণ্ড গরম আর রাতে লোডশেডিংয়ে জীবন যায় যায় অবস্থা। গত কয়েকদিনে এ সমস্যা খুব বেড়েছে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান দাবি করছি।’ লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, ‘গত কয়েকদিনে লোডশেডিং অতিরিক্ত বেড়েছে। একদিকে প্রচণ্ড গরম। অন্যদিকে ক্লাস চলাকালীন বিদ্যুৎ চলে গেলে মনোযোগও বসে না। এ বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’ কেন এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. শামসুল হক মৃধার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সরাসরি তার অফিসে যাওয়ার কথা বলে মোবাইল কল কেটে দেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্র্রার আবু হাসান বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমাদের বিভাগগুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা, ল্যাব চলছে। আমরা এ বিষয়ে পল্লি বিদ্যুৎ কতৃর্পক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।’

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |