মাহমুদ হাচান, শিশু সাংবাদিক: অদম্য মেধাবী ইয়াকুব আলী। সংসার ও লেখাপড়ার খরচ জোগাতে ইয়াকুব করেছে দিনমজুরি। এভাবেই বিভিন্ন প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে বিজ্ঞান জিপিএ-৫ পেয়েছে। এই সাফল্যেও তার মুখে হাসি নেই, নতুন করে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তার পরিবারে।
ছেলের উচ্চশিক্ষার টাকা জোগাড় কোথা থেকে করবেন, এখন সেই দুশ্চিন্তায় হতদরিদ্র দিনমজুর বাবা-মা। ইয়াকুব আলী নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের উত্তর খাটুরিয়ার ভূমিহীন দিনমুজুর হায়দার আলীর ছেলে। এবার খাটুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পেয়েছে জিপিএ-৫। ইয়াকুব আলী জানান – আমি দিনমজুরি করে লেখাপড়া করছি। এবার এসএসসি পরিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছি। আমার স্বপ্ন আমি একজন প্রকৌশলী হবো। কিন্তু আমার পরিবার আর্থিক ভাবে অসচ্ছল। আর্থিক সমস্যার জন্য এখন আমার পরবর্তী শিক্ষাজীবনই অনিশ্চিত ।
ইয়াকুবের বাবা হায়দার আলী বলেন – আমার নিজস্ব বসতজমি নাই,অন্যের জায়গায় বাড়ি করে আছি। ভ্যান চালিয়ে কোনো রকমে সংসার চালাই। আমার ছেলের লেখাপড়া প্রবল আগ্ৰহ থাকলেও, আমার সামর্থ্য নেই ছেলেকে ভালো কলেজে পড়ানোর। এলাকাসী জানান – ভূমিহীন দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছাত্র ইয়াকুব। তার পরীক্ষার ফলাফলে এলাকাবাসী খুশি হলেও তার বাবা-মায়ের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। দিনমজুরি করেও অদম্য উৎসাহ নিয়ে সে এতদিন পড়ছে। আর্থিক সহযোগিতা পেলে মেধাবী এ ছেলে নিশ্চিন্তে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে বলে মনে করেন তারা।
খাটুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আ.ফ.ম জাকারিয়া বলেন – আর্থিক অভাব-অনাটানের মধ্যে দিয়েও পড়াশোনা করছে ইয়াকুব। এমনও দিন ছিলো না খেয়ে স্কুল এসেছিল। তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন – ইয়াকুব কে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক কালীন আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। পরবর্তী লেখাপড়া চালার জন্য প্রয়োজনে আরও সহযোগিতা দেওয়া হবে।