শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন
ইবি প্রতিনিধিঃ সরকারি চাকরিতে ৩০% মুক্তিযুদ্ধ কোটা পদ্ধতির সংস্কার দাবিতে দেশব্যাপী চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের চতুর্থ দিনে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৭ জুলাই) সকাল ১১ টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা৷ কর্মসূচির একপর্যায়ে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে ‘বাংলা ব্লকেড’ সফল করতে অবস্থান নেয়। এসময় ২ ঘন্টার জন্য মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে উভয়পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
দেশের স্বাভাবিক গতিময়তা স্থবির করার লক্ষে ঘোষিত এই ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচী সফল করতে রাজপথে অবস্থান নিয়ে ইবি শিক্ষার্থীরা আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই; কোটার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন; জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে; দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান; কোটা না মেধা, মেধা মেধা; মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাওয়ানা শামিম বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে মূল স্রোতের বাইরে থাকা অনগ্রসর গোষ্ঠীদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য কোটা সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আমরা তাদেরকে স্পেশাল সুবিধা দিয়ে থাকি। অথচ আমাদের যে বন্ধুটার মা-বাবা কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর তাদের কোটা সুবিধা দেয়া হচ্ছেনা। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ভাতা, অন্যান্য সুবিধা ঠিকি পাচ্ছেন, তাদের নাতি-নাতনীরা আমাদের সাথেই একই শিক্ষকের ক্লাস করছে, মূলস্রোতে একীভূত হয়েছে। এমন বৈষম্য আমরা চাই না।
ইবি ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিরুল বলেন, আমরা কিন্তু বাতিলের কথা বলিনি, আমাদের দাবি কোটা সংস্কার করা । যৌক্তিক কোটা সংস্কারের মাধ্যমে মেধাবীদেরকে প্রধান্য দেওয়া হলে প্রতিটি সরকারি অফিসে আদালত থেকে শুরু করে প্রশাসন পর্যায়ে লালফিতার দৌরাত্ম্য হ্রাস পাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করার যে পরিকল্পনা সেটা মেধাবীদের দ্বারা পূরণ করা সম্ভব। যদি সরকার দাবি মেনে না নেয় তাহলে শিক্ষার্থীরা রাজপথে থাকবে।