সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন

থামছেই না ইসরায়েলি আগ্রাসন, গাজায় প্রাণহানি ৪৩ হাজার ছুঁইছুঁই

থামছেই না ইসরায়েলি আগ্রাসন, গাজায় প্রাণহানি ৪৩ হাজার ছুঁইছুঁই

থামছেই না ইসরায়েলি আগ্রাসন, গাজায় প্রাণহানি ৪৩ হাজার ছুঁইছুঁই

অনলাইন ডেস্ক: এক বছর পেরিয়েও ইসরায়েলি আগ্রাসনের শেষ দেখতে পাচ্ছে না গাজাবাসী। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এ উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এর ফলে ইতোমধ্যে ধ্বংসপ্রায় উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৩ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ভূখণ্ডটিতে আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। শনিবার (২৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ হাজার ৯২৪ জনে পৌঁছেছে বলে শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে, বিগত সাড়ে ১২ মাসের নির্বিচার হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত এক লাখ ৮৩৩ জন বাসিন্দা ।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর কয়েক দফার হামলায় অন্তত ৭৭ জন নিহত এবং আরও অন্তত ২৮৯ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলি এই হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বরতার শিকার হয়ে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সেখানকার সকল বাসিন্দা।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |