শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন

তোর এক পা কেটেছি, আরেকটাও কাটব

তোর এক পা কেটেছি, আরেকটাও কাটব

ময়মনসিংহ  অফিস: এই, তোকে তো মারতে চেয়েছিলাম। তবু একটা পা যখন কেটেছি, আরেকটাও কাটব। এখনো বাড়াবাড়ি করছিস! ভালো হয়ে যা। মামলায় গেলে কী করব, তা তো জানিস!’ এভাবেই ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের কূলধুরুয়া গ্রামের সন্ত্রাসী ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর (২৮) চায়ের দোকানদার মো. জুয়েল মিয়াকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।চার মাস আগে গ্রামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় তানভীর জুয়েল মিয়াকে ধরে নিয়ে পা কেটে গুরুতর জখম করে।

এরপর মামলা না করার জন্য মোবাইলে ও লোক মারফত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। উসমান খাঁ’র ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর বর্তমানে অজ্ঞাত স্থানে অবস্থান করলেও মাঝে মাঝে গ্রামে এসে দলবল নিয়ে প্রভাব বিস্তার করে। তিনি এলাকার সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালানোর পাশাপাশি জোরপূর্বক চাঁদা আদায়, জমি দখল, মাদক ব্যবসা এবং চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেন।

কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে বাড়িঘরে লুটপাট করেন। নিজের কাছে থাকা পিস্তল ও চাইনিজ রামদার ভয় দেখিয়ে নিরীহ লোকজনকে সন্ত্রস্ত করেন। তানভীরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তিনি জেল খেটেছেন, তবে জামিনে বেরিয়ে এসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আরও বেড়ে গেছে। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর চারজন গ্রামবাসীকে তুলে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে চায়ের দোকানদার জুয়েল মিয়াকে দোকান থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে বাম পা কেটে গুরুতর জখম করা হয়। বর্তমানে জুয়েল মিয়া ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। তার চিকিৎসার খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আয়ের কোনো উপায় নেই, যার কারণে তার সন্তানদের মুখে আহার জোটানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

 

আজ শুক্রবার দুপুরে জুয়েল মিয়া জানান, আমি একজন নিরীহ মানুষ। সন্ত্রাসী তানভীরের নির্যাতনের প্রতিবাদ করাই আমার অপরাধ। সে আমাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। আমার তিন সন্তান। এখন কোনো আয় না থাকায় তাদের মুখে খাবার তুলে দিতে পারছি না। চিকিৎসার খরচও মেটাতে পারছি না। তানভীর এখনো প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি তার বিচার চাই এবং আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই। গ্রামের মানুষ এখন তানভীরের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অপেক্ষায়।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |