শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৮ অপরাহ্ন
মোঃ আব্দুল হাই, কালাই (জয়পুরহাট): উত্তরের জেলা জয়পুরহাটে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতাকে বাড়িয়ে তুলছে। জয়পুরহাটের সরিষার ফলন দিন দিন বাড়ছে। এই সুযোগ’কে কাজে লাগিয়ে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করছেন মৌ-চাষীরা।
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে হলুদ সরিষা ফুল মৌমাছির গুনগুন শব্দে মুখর প্রকৃতি সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌ-বাক্স স্থাপনের মাধ্যমে মধু সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত মৌয়ালরা। মৌ চাষের মাধ্যমে চাষীরা একদিকে যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে দূর হচ্ছে বেকারত্ব ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার বিলের ঘাট টু জামালগঞ্জ চারমাথা রাস্তার পার্শ্বে সরিষা ক্ষেতের পাশে পরে থাকা ফাঁকা মাঠে মৌ বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করছেন পরে সে মধু জেলা, উপজেলা সহ বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারি বাজারে বিক্রি করা হয় বলে জানা গেছে।
মৌ চাষের জন্য সরিষা ক্ষেতের পাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয় মৌ বাক্স । পাশাপাশি বাক্সগুলোর ভেতরে দেওয়া হয় রাণী মৌমাছি। যাকে ঘিরে আনাগোনা করে হাজারো পুরুষ মৌমাছি। রানির আকর্ষণে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছিরা। একটি রাণী মৌমাছির বিপরীতে প্রায় তিন থেকে চার হাজারের মতো পুরুষ মৌমাছি থাকে একেকটি বাক্সে।
নারায়নগঞ্জ থেকে আসা মৌ চাষী মো. খুরশিদ আলম জানান, দীর্ঘ সাত বছর থেকে মৌ চাষের সাথে যুক্ত আছেন তিনি গতবছর এর তুলনায় এবছর সরিষার আবাদ কম প্রায় কৃষক আলুর দাম বেশী পাওয়ার কারণে আলু লাগিয়েছে ফলে সরিষার আবাদ কম হয়েছে।
জামালগঞ্জ এলাকার মৌ চাষী শাহানুর ইসলাম জানান, সরিষার জমির পাশে তারা প্রায় আড়াইশ মৌ- বাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছে এখন পর্যন্ত আবাহাওয়া ভালো আছে এরকম থাকলে ফলন ভালো পাওয়া যাবে । আমার এখানে প্রায় সাত জন কাজ করছে মধু সংগ্রহের পর পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিক্রি করে থাকি।
মধু ক্রেতারা জানান, মধু স্বাস্থ্যের জন্য উপকার চোখের সামনে মধু সংরক্ষণ করা দেখছি এরকম নির্ভেজাল মধু সচরাচর পাওয়া যায় না ভেজাল নেই তাই কিনতে এসেছি।
ক্ষেতলাল উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. মিজানুর রহমান জানান, চলতি অর্থবছরে ক্ষেতলাল উপজেলায় ৯ শত পাঁচ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ন দুই থেকে আড়াইশ মৌ- বাক্স স্থাপন করা হয়েছে এতে সরিষা ফুল এর পরাগায়ন ঠিক মতো হওয়ায় একদিকে সরিষার ফলনের উৎপাদন বৃদ্ধি হয় ঠিক তেমনি মধু ও উৎপাদন করা যায় এতে কৃষক মৌচাষী উভয়ে লাভবান হচ্ছে।