মেহেরপুরে ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সহযোগিতায় আসামিরা জামিনে ছাড়া পেয়ে বাদীকে হত্যার হুমকি দেওয়া ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রকে মারধর করায় অপরাধে আসামিদের গ্রেপ্তার ও তদন্ত অফিসারের শাস্তির দাবিতে মেহেরপুর সদর থানা ঘেরাও করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার রাতের প্রায় এক ঘন্টা ব্যাপী কয়েকশ' ছাত্র সদর থানা ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশ সুপার মাকসুদা আখতার খানম তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এক ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
এছাড়া মেহেরপুর সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর ফারহানের নেতৃত্বে একটি টিম থানায় গিয়ে ছাত্র নেতাদের সাথে কথা বলে সুরাহার আশ্বাস দেন। গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে চকলেট দেওয়ার নাম করে, মেহেরপুরের নতুন মদনাডাঙ্গা আশ্রয়ীন প্রকল্পের ৯ বছরের এক শিশুকে এই গ্রামের বরকত আলীর ছেলে বাইজিদ (২০) তাদের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এই সময় তার বন্ধু আল আমিন (২০) এই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরে ভিডিও ফাঁস করার হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী নেই। এরপর আবারও ১ লাখ টাকা সাদা দাবি করে। তাদের দাবি কৃত চাদার টাকা না দিলে আসামিরা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছেড়ে দেই।
এই ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে পর্ণোগ্রাফি আইনে মেহেরপুর সদর থানায় মামলা করে। এই মামলায় তদন্তকারী অফিসার সুজয়ে মল্লিক এর সহযোগিতায় আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়। বিষয়টি মেহেরপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা তদন্তকারী কর্মকর্তা সুজয়ে মল্লিকের কাছে জানতে চাইলে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে।
পরে রাতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখা আহবায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ, সদস্য সচিব মোজাহিদুল ইসলাম, নাগরিক কমিটির নেতা কর্মী জড়ো হয়ে আসামিদের গ্রেফতার ও তদন্তকারী কর্মকর্তার শাস্তির দাবিতে সদর থানা ঘেরাও করে রাখে।
আপনার মতামত লিখুন :