নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় শফিকুল ইসলাম নামে একজনের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আর ঐ জমি দখলের সময় সহযোগী করেছেন স্থানীয় যুবদল কয়েক জন নেতা। তাদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ সময় তিনি চর কিং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চর বগুলা গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে ইব্রাহিম, আব্দুল মালেকের ছেলে ছালা উদ্দিন, হোসেনের ছেলে আবুল বাশার,আব্দুল করিমের ছেলে আব্দুল হালিম,মৃত আব্দুর রহমান পন্ডিতের ছেলে আব্দুল মোমেন রকি,ওজি উল্যাহর ছেলে মাইন উদ্দীন, সেকান্দরের ছেলে কবির হোসেন, মোঃ সফির ছেলে ফরহাদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন- আমি ৬নং চরকিং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে চর বগুলা গ্রামের, চর বগুলা মৌজায় ১.৭৯ একর জমি পিতার ওয়ারিশ সূত্রে মালিক দখলকার । উক্ত জমি গুলো বিগত দীর্ঘ বছর যাবত আমরা চাষা নিযুক্ত করে ফসলাদি আহরণ করে থাকি। আমি চাকুরীর সুবাধে হাতিয়ার বাহিরে দীর্ঘদিন যাবত অবস্থান করতেছি। আমি হাতিয়ার বাহিরে থাকাবস্থায় মোঃ ইব্রাহিমকে চাষা নিযুক্ত করি। আমি হাতিয়ার বাহিরে দীর্ঘদিন অবস্থান করার কারণে আমার পিতার ওয়ারিশী জমি গুলো প্রতিনিয়ত দেখা শুনা করতে পারছিনা ।
গত ২৪ জানুয়ারি অভিযুক্ত ইব্রাহিম ও অজ্ঞাতনামা লোকজন নিয়ে আমার উল্লেখিত জমির প্রতি লোভের বশবর্তী হয়ে আমার পিতার ওয়ারিশী জমি জোর পূর্বক দখল করার জন্য জমিতে মাটি খনন করে বাড়ি ঘর নির্মাণ করার জন্য স্কেভেটর ভেকু মেশিন নিয়ে রাখে। আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধা প্রদান করলে আসামীগণ আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে।
পরবর্তীতে আমি উক্ত বিষয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে বিগত জানুয়ারির ২৫ তারিখে হাতিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের ভিত্তিতে হাতিয়া থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি কাটার বিষয়টি বন্ধ করেন এবং তাদেরকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতিয়া থানায় উপস্থাপনের জন্য বলেন। সে থেকে আসামীগণ কিছুদিন চুপ থাকলে ও পুনরায় সকল আসামীগণ একযোগে গত ১৬ মে দিবাগত রাত্রে আরো কিছু অজ্ঞাতনামা লোক নিয়ে অনধিকার ও অবৈধ উপায়ে আমার মালিকীয় জায়গা থেকে মাটি খনন-ভরাট করে বসত ঘর নির্মাণ করে। আসামীগণ বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হুমকি দিয়ে বলে যে, আমি আমার পিতার ওয়ারিশী জমিতে আসামীগণকে বাঁধা দিলে আসামীগণ আমাকে প্রাণে হত্যা করবে, মারধর করবে, অপমান অপদস্ত করবে বলে নানান হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম জানান- এখানে আমরা থানায় জানানো পর ও তারা লোকজন নিয়ে জোর করে আমাদের জমিতে ঘর তুলেন। তারা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এইসব অনিয়মের সাথে সংযুক্ত।
ছালা উদ্দিন জানান- আমি তো এই জমি কিনি নাই আমি কেন মতামত দিব, তাকে কেন আসামী করা হয়েছে এটা জানতে চাইলে তিনি বলে আমি জানি না। ঐ জায়গায় টা ইব্রাহিম নামে এক লোকের বাকী টা আমি জানিনা।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম জানান- এদের কারো সাথে আমাদের সম্পর্ক নেই। তারা কেন আমার নাম জড়িয়েছে সেটা আমি জানি না।
অভিযুক্ত ইব্রাহিম জানান- আমি নিজের জমিতে নিজে ঘর দিয়েছি, তাকে টাকা না দেওয়ায় সে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। এটি তার দাদা থেকে আমি কিনে নিয়েছি।
হাতিয়া থানায় অফিসার ইনচার্জ জানান - অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :