শাহ আলম, দাগনভূঞা: ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগে ঘটনার দীর্ঘ ১৩ মাস পর তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন আহত ভুক্তভোগী এনায়েত উল্যাহ।
অভিযুক্ত সাংবাদিকরা হলেন, শফি উল্লাহ রিপন দৈনিক দেশ রূপান্তর ও ইউএনবি প্রতিনিধি, এবং জুলাই আন্দোলনে আহত, শাখাওয়াত হোসেন ডন চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, দৈনিক ফেনী সাহেদ সাব্বির নিজস্ব প্রতিবেদক, দৈনিক ফেনী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসামিদের নির্দেশে ও মদদে নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে বাদীসহ অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন এবং ৯ জন নিহত ও দুই শতাধিক আন্দোলনকারী আহত হন।
এছাড়া আহতদের চিকিৎসা নিতেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়। বাদী জানান, তিনি পেশায় একজন শ্রমিক হওয়ায় দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হয়েছে এবং পরিবারের ব্যয়ভার বহন করায় মামলা করতে দেরি হয়েছে।
ঘটনার পর বুধবার রাতে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জরুরি বৈঠক করেন জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা।
তারা এই মামলাকে সাংবাদিকদের "কণ্ঠরোধে ভয়াল ষড়যন্ত্র" আখ্যা দিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং মামলাটিকে একটি পরিকল্পিত অপচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করা হয়।
মামলা দাখিলে বিলম্ব প্রসঙ্গে বাদী এনায়েত উল্যাহ বলেন, আমি আহত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকায় মামলা করতে সময় লেগেছে।
তবে সাংবাদিকদের জড়ানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে হামলার ঘটনার পোস্ট রয়েছে। এ পর্যায়ে তিনি মোবাইল ফোনে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে কল কেটে দেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মুহাইমিন তাজিম বলেন, মূলত গণঅভ্যুত্থানে হওয়া প্রকৃত মামলাগুলোকে দুর্বল করতে এবং জুলাই আন্দোলনকে বিতর্কিত করতেই এমন মামলা করা হচ্ছে। এটা এক ধরনের বিচারহীনতার চর্চা, যা আমরা তীব্রভাবে নিন্দা জানাই।”
আপনার মতামত লিখুন :