নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নে সরকারি কৃষি প্রোগ্রামের কথা বলে সাধারণ কৃষকদের ডেকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জোর পূর্বক কৃষি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় কৃষকরা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করে কৃষকরা।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী নারী ও পুরুষরা জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের কলেজ গেইট সংলগ্ন একটি বাড়িতে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে এক অনুষ্ঠান আছে বলে কৃষকদের সেখানে উপস্থিত থাকতে বলে শাহাদাত হোসেন ইব্রাহিম ও এরশাদ নামের দুই ব্যক্তি। তাদের কথায় যথাসময়ে ওইস্থানে উপস্থিত হন কৃষিকাজে জড়িত স্থানীয় নারী পুরুষরা।
তারা অভিযোগ করে বলেন, অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়ার পর উপস্থিত কৃষকদের সাথে অপরিচিত এক ব্যক্তিকে কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত করে দেন ইব্রাহিম। পরে ওই ব্যক্তি হাতিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল বাছেদ সবুজ, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন ও দাউদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিতে থাকেন কৃষকদের। দীর্ঘসময় ধরে তিনি কৃষক কৃষানীকে এ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কথা শিখিয়ে দেন। পরবর্তীতে ওই কর্মকর্তার শিখিয়ে দেওয়া বক্তব্যগুলো রেকর্ড নিয়ে কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল’সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচার করে।
এ ভিডিওগুলো স্থানীয় কৃষকদের দৃষ্টিতে আসলে তাদের শিখিয়ে দেওয়া বক্তব্যগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন তারা। কৃষকদের দাবি তাদের বিভিন্ন সহযোগিতা দেওয়া হবে মর্মে এ বক্তব্যগুলো বলিয়ে নেওয়া হয়েছিলো। যার কোনে সত্যতা নেই।
তাই দুপুরে তারা একত্রিত হয়ে এই অপকর্মের মূলহোতা কৃষি কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন ও তার সহযোগি ইব্রাহিম, এরশাদ’সহ ওইদিন এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।
এ বিষয়ে ইব্রাহিম বলেন, জসিম স্যার ফোন দিয়েছে এখানে একটা মিটিং আছে, কিছু লোক দিতে হবে। ফরহাদের মাধ্যমে জসিম স্যার কিছু খরচের টাকা পাঠিয়েছে। তাই আমি কিছু লোক পাঠিয়েছি। এর বাইরে কিছু জানিনা।
মিথ্যা অপপ্রচারে অভিযোগের বিষয়ে হাতিয়ার সাবেক উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ও বর্তমানে রামগতি উপজেলার উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এ সকল বিষয়ে কিছুই জানিনা। আমি রামগতিতে আছি।
আপনার মতামত লিখুন :