শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৫ অপরাহ্ন

মাধবপুরে অভাব অনটন আর ভাঙ্গা ঘরে দিন কাটছে কাজলি হাঁড়ির

মাধবপুরে অভাব অনটন আর ভাঙ্গা ঘরে দিন কাটছে কাজলি হাঁড়ির

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ :
আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও রহিমউদ্দিনের ছোট্র বাড়ি রসুলপুরে যাও বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি একটু খানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি একটু খানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে। তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে পেটটি ভরে পায়না খেতে ,বুকের ক খান হাড় স্বাক্ষী দিচেছ অনাহারে কদিন গেছে তার। পল্লী কবি জসিম উদ্দিনের আসমানী কবিতার আসমানীর মতই অনাহারে অর্ধহারে দিন কাটছে কাজল হাঁড়ির ভাঙ্গা ঘরে বাস এক কোনায় রান্না করেন আরেক কোনায় ঘুমান।
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া চা বাগানের একটি খুড়ে ঘরে একমাত্র মেয়ে সপ্তমি কে নিয়ে দিন কাটছে চা শ্রমিক কন্যা কাজলি হাঁড়ির। স্বামী লেচু হাঁড়ি ১০/১২ বছর আগে মারা যায়। তারপর থেকে একমাত্র মেয়ে কে নিয়ে কোন রকমে দিন পাড় করছে কাজলি হাঁড়ি। লাকড়ি কুড়িয়ে বিক্রি করে যে কয়টা টাকা পায় তা দিয়ে কোন রকমে দিন পাড় করে কাজলি । ঘরের মাটির দেয়াল ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়লেও টিক করতে পারছে না কাজলি হাঁড়ি। ভাঙ্গা ঘরে মেয়ে কে নিয়ে রাত্রি যাপন করে তিনি কাজল হাঁড়ি এ প্রতিনিধি কে জানান তিনি অনেক কষ্টে চলতেছেন।
তার তো কেউ নাই স্বামী নাই দেবর নাই ভাঙ্গা ঘরে মেয়ে টাকে নিয়ে অনেক কষ্টে আছে সাহায্য করার ও কেউ নাই। বাগান থেকেও ঘর দেয়নি। নোয়াপাড়া চা বাগানের বিচিত্র রেলি জানান, শ্রমিকদের দাবি আদায় নিয়ে এখন সব বাগানে আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলন শেষ হলে কাজল হাঁড়ির বিষয় টি নিয়ে বাগান কতৃপক্ষ ও পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলবেন বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কমেড নায়েক জানান।
কাজল হাঁড়ি কে সহযোগীতা করার জন্য বাগান কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে মাধবপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আশ্রাফ আলী তাপস জানান, উনার বিষয়টি শুনে খুবই মর্মাহত হলাম উনাকে ভাতার আওতায় আনতে শিঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |