সাকিব আল হাসান রুবেল:
শিক্ষা এমন একটি অদৃশ্য শক্তি যা কেউ চাইলেও কেড়ে নিতে পারে না। আর এই অদৃশ্য শক্তির অন্যতম পর্ব হলো কলেজ পর্যায়ের শিক্ষা। এই শক্তি কীভাবে প্রয়োগ করলে তা মানুষের জীবনকে বদলে দিতে পারে তা নিয়ে ভাববার মানুষ খুবই কম। তবে কেউনা কেউতো ভাবেই। তারই একটি বাস্তব উদাহরণ আদর্শ শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলাম । তিনি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি দেশের মফস্বলের একটি কলেজের দায়িত্ব পালন করেও মাঠ পর্যায়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন বৃদ্ধি করে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তার সহযোদ্ধা একঝাঁক আদর্শ শিক্ষক ও গভর্নিং বডি’র সুদক্ষ সভাপতি এবং সদস্যদের নিয়ে। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বের বদৌলতে কলেজে শিক্ষার ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। তিনি মানসম্মত শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে রুটিন কাজের পাশাপাশি বিভিন্নমুখী উদ্যোগী কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকেন। যে উদ্যোগগুলো মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তিনি ২০০২ সাল থেকেই কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আরও ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
তিনি কলেজেরও শ্রেণি কার্যক্রম, ক্লাস রুটিন, ক্লাসরুম পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। তিনি নিজেই ভিন্নভিন্ন ক্লাসরুমে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন। এছাড়াও তিনি প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি ও সদস্য এবং শিক্ষক মন্ডলীদের সাথে শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় করেন।এ ব্যাপারে যাদুরচর ডিগ্রী কলেজের অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বলেন, অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর কলেজে লেখাপড়ার মান বৃদ্ধি পেয়েছে ও পাশের হার বেড়েছে। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পাশের হার আরও বাড়বে বলে আমাদের আশা ও বিশ্বাস।
এ ব্যাপারে মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে যাদুরচর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ২০০২ সালে এই কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে পরিচালনার জন্য নিয়মিত ক্লাশগুলো পরিদর্শন ও মনিটরিং কার্যক্রম করা হয়। এরই অংশ হিসেবে বছরের শুরুতেই কলেজে সময়মত শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার্থীদের সংখ্যাবৃদ্ধি, ঝড়ে পড়ার হার হ্রাস, পরীক্ষায় পাশের হার বৃদ্ধি সহ সকল শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করে চলছি। তারই ধারাবাহিকতায় গতবারের চেয়ে পরীক্ষায় ফলাফল ভাল হয়েছে। গতবার পাশের হার ছিল প্রায় ৯৬ শতাংশের কিছু উপরে। এমনকি ৩০ জন এ প্লাস পেয়েছে এইচএসসিতে। আগামীতে পাশের হার বৃদ্ধি ও শিক্ষার মান আরও বাড়বে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তিনি আরও বলেন, আমি সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করার পরেও একটি কুচক্রীমহল নানান ভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে আমার সুনাম নষ্টের পায়তারা করছে। তবে তারা সফল হবে না বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমি আমার দায়িত্ব অতীতের মতো সঠিকভাবেই পালন করে যাবো। একই সঙ্গে কলেজটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনায় এলাকাবাসী, অভিভাবক ও সচেতন মহলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।