শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন

আপডেট
সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত : প্রধান উপদেষ্টা কালীগঞ্জে গড়ে উঠেছে হারিয়ে যাওয়া মৃৎশিল্প কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড পুলিশের ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) নিয়োগ-২০২৫ এর লিখিত পরিক্ষা সংক্রান্তে ব্রিফিং জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় নির্বাচিত সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে অ্যাপে নিবন্ধন করে নিতে হবে ট্রাভেল পাস মানিকছড়িতে কারিতাসের উদ্যোগে পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সাংগঠনিক কর্মশালা গণঅভ্যুত্থানে  নিহত ও আহতদের স্বরণে কেশবপুরে স্বরণ সভা শিক্ষার্থী ভর্তি ও শিক্ষক নিয়োগে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করবো – বাকৃবি উপাচার্য
দিনমজুরি করেও জিপিএ-৫, এখন দুশ্চিন্তা

দিনমজুরি করেও জিপিএ-৫, এখন দুশ্চিন্তা

মাহমুদ হাচান, শিশু সাংবাদিক: অদম্য মেধাবী ইয়াকুব আলী। সংসার ও লেখাপড়ার খরচ জোগাতে ইয়াকুব করেছে দিনমজুরি। এভাবেই বিভিন্ন প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে বিজ্ঞান জিপিএ-৫ পেয়েছে। এই সাফল্যেও তার মুখে হাসি নেই, নতুন করে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তার পরিবারে।
ছেলের উচ্চশিক্ষার টাকা জোগাড় কোথা থেকে করবেন, এখন সেই দুশ্চিন্তায় হতদরিদ্র দিনমজুর বাবা-মা। ইয়াকুব আলী নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের উত্তর খাটুরিয়ার ভূমিহীন দিনমুজুর হায়দার আলীর ছেলে। এবার খাটুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পেয়েছে জিপিএ-৫। ইয়াকুব আলী জানান – আমি দিনমজুরি করে লেখাপড়া করছি। এবার এসএসসি পরিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছি। আমার স্বপ্ন আমি একজন প্রকৌশলী হবো। কিন্তু আমার পরিবার আর্থিক ভাবে অসচ্ছল। আর্থিক সমস্যার জন্য এখন আমার পরবর্তী শিক্ষাজীবনই অনিশ্চিত ।
ইয়াকুবের বাবা হায়দার আলী বলেন – আমার নিজস্ব বসতজমি নাই,অন্যের জায়গায় বাড়ি করে আছি। ভ্যান চালিয়ে কোনো রকমে সংসার চালাই। আমার ছেলের লেখাপড়া প্রবল আগ্ৰহ থাকলেও, আমার সামর্থ্য নেই ছেলেকে ভালো কলেজে পড়ানোর। এলাকাসী জানান – ভূমিহীন দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছাত্র ইয়াকুব। তার পরীক্ষার ফলাফলে এলাকাবাসী খুশি হলেও তার বাবা-মায়ের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। দিনমজুরি করেও অদম্য উৎসাহ নিয়ে সে এতদিন পড়ছে। আর্থিক সহযোগিতা পেলে মেধাবী এ ছেলে নিশ্চিন্তে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে বলে মনে করেন তারা।
খাটুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আ.ফ.ম জাকারিয়া বলেন – আর্থিক অভাব-অনাটানের মধ্যে দিয়েও পড়াশোনা করছে ইয়াকুব। এমন‌ও দিন ছিলো না খেয়ে স্কুল এসেছিল। তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন – ইয়াকুব কে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক কালীন আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। পরবর্তী লেখাপড়া চালার জন্য প্রয়োজনে আর‌ও সহযোগিতা দেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |