সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন
আহসান হাবীব লায়েক, জকিগঞ্জ (সিলেট): বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে জকিগঞ্জের এম এ মান্নান ম্যামরিয়াল স্কলারশীপের মেধা বৃত্তি পরীক্ষার সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়েছে। রবিবার উপজেলার জোবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে এই অনুষ্ঠান হয়।
জোবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ট থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট চার ক্লাসের আটজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হয়। প্রতি শ্রেণিতে সকল শাখা মিলে সর্বোচ্চ নম্বরধারী একজন ছাত্র ও একজন ছাত্রী এ বৃত্তি লাভ করেন। প্রত্যেককে নগদ দুই হাজার টাকা ও একটি সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের সচিব অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য সহকারী নজমুদ্দীন আহমদ গঙ্গাজল হাসানিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, প্রধান শিক্ষক জয়েদ আহমদ, সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুছ ছাত্তার বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য আব্দুছ ছালাম, হাসান আহমদ শিক্ষক আব্দুশ শহীদ, বাবু সুদীপচন্দ্র প্রমুখ।
এম এ মতিন ম্যামোরিয়াল ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল বাছিত জকিগঞ্জের খাদিমান গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। জোবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে তিনি স্টার মার্কস পেয়ে এসএসসি উত্তীর্ণ হন। পরে সিলেট এমসি কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাশ করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। যুক্তরাজ্য থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েটের) পদার্থ বিজ্ঞান ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত। অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছিত কর্তৃক বুয়েটে প্রতিষ্ঠিত গবেষণা ল্যাব থেকে প্রতি বছর অসংখ্য শিক্ষার্থী গবেষনা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সহ অনেকেই তাঁর অধীনে পিএইচডি ডিগ্রি গ্রহণ করছেন। তিনি তার প্রয়াত পিতা আব্দুল মান্নানের নামে এ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রতি বছর এ ট্রাস্টের মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হবে। গঙ্গাজলের ট্যালেন্টস হোম এর মেধাবী শিক্ষার্থীদের ও তিনি প্রতি বছর বৃত্তি প্রদান করে থাকেন। নাড়ির টানে তার স্মৃতি বিজড়িত জোবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করায় এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সহ সকল শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, টাকার পরিমাণ সামান্য হলেও তা আমাদের খুব উপকারে আসবে। আশা করি, সামনের দিনগুলোতে তারা আমাদের পাশে থাকবেন। আমরা কখনো এ ঋণ শোধ করতে পারবো না।