বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
বেলায়েত বাবু :
রংপুরের আলোচিত মজনু হত্যার মামলা তুলে নিতে প্রতিদিন প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে জামিনে থাকা অন্য আসামীর সহযোগীরা তাই চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ও ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে সন্তান হারা এই বৃদ্ধ মা-বাবা কে। বিদ্যমান পরিস্থিতি ও আসামিদের অব্যাহত হুমকির ফলে নিরাপত্তা চেয়ে মিঠাপুকুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন নিহত মজনুর মা মামলার বাদী মনজিলা বেগম। রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ০৬ নং- কাফ্রিখাল ইউনিয়নের মালতলা ভবানীপুর গ্রামের আলোচিত মজনু (৩৮) হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামী সাইদুল ইসলাম (৩৫),ইয়াসমিন বেগম (৩০),সাহিনুর বেগম (৩২),অবশেষে ৭ মাস পরে গ্রেফতার হয়।দীর্ঘদিন আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় যেমন আতঙ্কিত ছিল পরিবারটি। দুঃখের বিষয় গ্রেফতারের পরেও জামিন প্রাপ্ত আসামি ও তাদের সহযোগীদের হুমকির কারনেও এখনো আতঙ্কিত জীবন পার করতে হচ্ছে নিহত মজনুর বাবা-মা কে।
মামলার বাদী মনজিলা বেগম জানায়,আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই এটাই কি আমার অপরাধ।যদি তাই না হয় তাহলে কেন আমাকে এই বৃদ্ধ বয়সে ছেলে হত্যার বিচারের জন্য নিজ বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।তাই আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে আমার ও আমার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য আবেদন করছি।পাশাপাশি জামিনে থাকা আসামিদের জামিন বাতিল করে হাজতে প্রেরনের প্রার্থনা করছি। উল্লেখ্য যে,গত ৭ মাস পুলিশের নিরবতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী নিহত মজনুর বৃদ্ধা মা মনজিলা বেগম ও বাবা আতিয়ার রহমান।মামলার বিবরণ ও বাদীর তথ্যামতে-ঘটনার দিন ৭ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখে বাদী মনজিলার নাতি আমিনুল ইসলাম (১৩) নানার বাড়িতে লেখাপড়া করার সুবিধার্থে অবস্থানকালে প্রতিবেশী অভিযুক্ত সাহেব আলীর পুত্র সাইদুল হকের বাচ্চাদের সঙ্গে আমিনুল ইসলামের মারামারি ও বিবাদ সৃষ্টি হয়। উক্ত বিবাদের জের ধরিয়া লাঠিসোঁটা দেশীয় অস্ত্রসহ আতিয়ার রহমানকে মারধর করার সময় বাদী মনজিলা এগিয়ে গেলে সাইদুল তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আঘাত করলে মনজিলার হাত ভেঙ্গে যায়।
পাশেই মিয়ারহাট বাজারে মুদি দোকানে মারামারির খবর জানতে পেরে মনজিলার ছেলে মজনু বাড়িতে দৌড়ে তার মাকে উব্ধারের চেষ্টা করলে বিবাদী সাইদুল,সাহেব আলী,মজনুর মাথায় আঘাত করে।ফলে মজুনর মাথা ফেটে চৌচির হয় এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্হানীয়দের সহযোগিতায় আহত মজনু এবং তার মা মনজিলা,আতিয়ার রহমানকে প্রথমে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেদিনেই রাত ১১ টায় মজনু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।১২ ডিসেম্বর মজুনুর লাশ পোস্ট মর্টেম শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং ঘটনার ৩ দিন পর ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখে মিঠাপুকুর থানায় পাঁচ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যাহার মামলা নং- ২০/২০২১।