সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী মানুঃ
ঢাকা জেলা সাভারের আশুলিয়ায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাসায় ডেকে নিয়ে বেড শেয়ারিংএর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে চাঁদা আদায় চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব-৪। রবিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ তাদের আদালতে পাঠায়। এর আগে ভোরে আশুলিয়ার উত্তর গাজিরচটের বুড়িবাজার এলাকায় র্যাব-৪ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আশুলিয়া থানায় সোপর্দ করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আশুলিয়া থানার প্রায় এক হাজার মিটার পূর্ব পার্শ্বে উত্তর গাজিরচট বুড়িবাজার এলাকার মৃত আমজাদের মেয়ে অঞ্জনা ভূঁইয়া (৪৫),গাজীপুর জেলার জয়দেব থানার লক্ষীপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাব্বির মিয়া (১৯), মাদারিপুর জেলার কালকিনি থানার এনায়েতনগর গ্রামের ফোরকান সরদারের মেয়ে মোছাঃ জান্নাত (২২), ও তার বোন মোছা. জামিলা নুসরাত (১৮), বাগেরহাট জেলার চিলমারী থানার আরুয়াবনি গ্রামের ইলিয়াছ সরদারের ছেলে নজরুল ইসলাম (২৮), জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানার মৌলভীরচর গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে মতিউর রহমান (২৮), গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার শ্রীপুর ছাতানাবাড়ী গ্রামের মো. আমিনের ছেলে নাজমুল হুদা (১৫), চাপাইনবয়াবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার আটরশি বালুটুমি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে হাছনারা (২৪) এছাড়াও পলাতক রয়েছেন,জাহাঙ্গীর, সুচী বেগম, বৃষ্টি, তানিয়া আক্তার, মাসুদ রানা, মেঘলা আক্তার, সাথী বেগম, আকাশ সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মোঃ শাহ্ পরান নামের এক চাকুরিজীবীর সাথে গ্রেপ্তার হাছনারার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে গত ২০ আগস্ট বিকেলে দেখা করার কথা বলে হাছনারা বাসায় ডেকে নেয় ভুক্তভোগীকে। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত অন্যান্য আসামিরা তাকে মারধর করে কাছে থাকা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে নগ্ন অবস্থায় ভিডিওধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভুক্তভোগীকে ব্যাপক মারধর করেন আসামিরা। পরে কৌশলে সিপিসি-২, র্যাব-৪ এর কন্ট্রোল রুমে জানালে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ৮জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শাহ্ পরান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে তাদেরকে সেই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
র্যাবের-৪ এর জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাকৃতরা জানায়, তারা পলাতক আসামিদের যোগসাজশে বিভিন্ন মানুষের সাথে বন্ধুত্ব বা প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে কৌশলে বাসায় ডেকে নেয়। পরে একইভাবে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করেন। তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্র তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে এধরনের অপরাধ করে আসছিল। এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় কিছুদিন আগেও ওই এলাকা থেকে একই ঘটনার দায়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।