বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন

সারের দাম বাড়লেও ফসল উৎপাদনে প্রভাব পড়বে না: কৃষিমন্ত্রী

সারের দাম বাড়লেও ফসল উৎপাদনে প্রভাব পড়বে না: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কেজিতে ৬ টাকা ইউরিয়া স্যারের দাম বাড়লেও ফসল উৎপাদনে কোন প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম কমলে দেশেও কমানো হবে। বুধবার (৩ আগস্ট) বরিশাল শহরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বরিশাল বিভাগসহ উপকূলীয় অঞ্চলে তেল, ফসল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালা শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। বরিশাল বিভাগসহ উপকূলীয় অঞ্চলে তেল, ফসল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)।

মন্ত্রী বলেন, সরকার ইউরিয়া সারের সুষম ব্যবহারের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করছে। কৃষকদের মধ্যে ইউরিয়া সার বেশি ব্যবহার করার প্রবণতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিএপি সারে শতকরা ১৮ ভাগ নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। সেজন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য সরকার ডিএপি সারের মূল্য প্রতিকেজি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে প্রথমে ২৫ টাকা (২০০৯ সালে) এবং পরে ২০১৯ সালে ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করে কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছে। এ উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিএপির সারের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও ইউরিয়া সারের চাহিদা কমেনি। দাম বৃদ্ধির ফলে ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি ইউরিয়ার সারের দাম ৮১ টাকা। সারের দাম ১ আগস্ট থেকে কেজিতে ৬ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। ডিলার পর্যায়ে খুচরা মূল্য প্রতিকেজি ১৪ টাকা হতে ২০ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে প্রতিকেজি ১৬ টাকা হতে বেড়ে ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সংকটকে কাজে লাগিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার ও সংকট থেকে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে বিএনপি। তাদের আমলে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল, দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি হয়েছিল, নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ ও বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার কর্মশালায়।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |