বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন

ইভিএমের বড় প্রকল্প হাতে নিচ্ছে ইসি

ইভিএমের বড় প্রকল্প হাতে নিচ্ছে ইসি

আবুবকর সিদ্দিক :

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইভিএমের বড় ধরনের কেনাকাটা আছে।এ ব্যাপারে যা করণীয় আছে প্রত্যেকটা লেবেলে যোগাযোগ করে তা করে ফেলবো তাড়াতাড়ি। আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলবো। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট)ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ রাকিবুল হাসান নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে তিনি এ কথা জানান। ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় ধরনের কেনাকাটা আছে। এ ব্যাপারে যা করণীয় আছে প্রত্যেকটা লেবেলে যোগাযোগ করে তা করে ফেলবো তাড়াতাড়ি।

আগামী দুই মাসের মধ্যে সমাপ্ত প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলবো । তিন মাসের মধ্যে কেনাকাটা শুরু হয়। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি আমরা প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়ে দেবো, সে সয় জায়গায় অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হবে। অনুমোদন হলে কেনাকাটার প্রক্রিয়া শুরু হবে, এমনটা আশা করতে পারি। মেশিন গুলো পর্যায়ক্রমে পাবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেশিনগুলো পর্যায়ক্রমে পাবো। বিএমটিএফ অভিজ্ঞ এ বিষয়ে অভিজ্ঞ। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। মেশিনগুলো ধাপে ধাপে পাবো। তার পর আস্তে আস্তে মাঠ পর্যায়ে পাঠাবো। সংরক্ষণ ৩০টি জেলায় বাসা বাড়ি বাড়া করে রাখা হয়েছে। অন্যান্য জায়গায় মাঠ পর্যায়ে রাখা হয়েছে। বিএমটিএফেও আছেও। নতুনগুলোও কিছু থাকবে। নতুন প্রজেক্টে ওয়ারহাউজি তৈরির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। না হলে বিকল্প পন্থায় যাবো। তিনি আরও বলেন,বর্তমানে দেড় লাখ ইভিএম আছে। নষ্টের পরিমাণ জানার জন্য মাঠ পর্যায়ে চিঠি দিয়েছি।

তার তথ্য পাঠাচ্ছে। যেহেতু পাঁচ বছর হয়েছে। আমরা দশ শতাংশ ধরতে পারি। যে সমস্ত মেশিন অচল বা নষ্ট হয়েছে, সে ধরনের হয়নি। মেইন্টেন্যান্সের জন্য যে চুক্তি আছে তাতে টোটাইল সচল করে দেবে বিএমটিএফ। ইভিএম সংরক্ষণ করা কতটা চ্যালেঞ্জ হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,সংরক্ষণ করাটা চ্যালেঞ্জ। সেটা মাঠ পর্যায়ে সেভাবে ওভারকাম করা হয়নি। তবে সচিবালয় চেষ্টা করে যাচ্ছে। মাঠ কর্মকর্তারাও যথেষ্ট চেষ্টা করছেন। বিএমটিএফ-এর স্টোরেজটা স্ট্যান্ডার্ড।

সেভাবে আমরা ওয়্যারহাউজ করার চিন্তা-ভাবনা নিয়ে এগুচ্ছি, যেন মাঠ পর্যায়ে রাখা যায়। তিনি আরও বলেন,আগের প্রজেক্ট ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ছিল। এটা তো পাঁচ বছর আগের ছিল। ইভিএমে কেনাসহ অন্যান্য ব্যয়। এবার কিছু তারতম্য হবে। টোটাল কস্টিং করতে পারিনি। সেপ্টেম্বরে হয়তো বলতে পারবো। এখনো কাজ করছি। কত ইভিএম লাগবে এবং আনষঙ্গিক ব্যয় আছে, সেগুলো নিয়ে সঠিক ফিগার বলা সম্ভব হয়না। নতুন প্রকল্পে যে ইভিএমগুলো আসবে এতে নতুন করে কোনো সংযোগ হচ্ছে না। এটা পারফেক্ট মেশিন। এটার মধ্যে সংযোগ-বিয়োজনের প্রয়োজন নেই। ১৫০ আসনে বলতে মোট কত ভোটারের জন্য ইভিএম ব্যবহার করা হবে তার ওপর নির্ভর করবে মেশিন কতটি লাগবে। সব আসনে ভোটার সংখ্যা সমান নয়। তাই এই বিষয় নিয়ে কাজ করছে সচিবালয়। শিগগিরই হয়তো বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |