বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২০ পূর্বাহ্ন

রোজা মাকরুহ হয় যেসব কারণে

রোজা মাকরুহ হয় যেসব কারণে

ইসলামি পরিভাষায় রোজা বলা হয়, সুবহে সাদিক থেকে নিয়ে সুর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার এবং সহবাস থেকে বিরত থাকা। তবে রোজার পূর্ণতার জন্য পানাহার থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি অন্যান্য ফরজ, সুন্নত ও নফল ইবাদত ঠিকমতো আদায় করা আবশ্যক। একইসঙ্গে অশ্লীল ও অহেতুক কাজ পরিহার করা জরুরি।

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রোজা রেখেও অশ্লীল কাজ ও পাপাচার ত্যাগ করতে পারল না, তার পানাহার ত্যাগ করার কোনো মূল্য নেই।’ (বুখারি, হাদিস, ৬০৫৭, ইবনে মাজাহ, হাদিস, ১৬৮৯) রোজার পূর্ণ সওয়াব অর্জন করতে অন্যান্য আমল ঠিক রাখতে হবে এবং অশ্লীল কাজ, পাপাচার ও রোজার মাকরুহ কাজগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। রোজা মাকরুহ হয়, এমন কিছু কাজের বিবরণ তুলে ধরা হলো এখানে..

* রোজাদারের জন্য মিথ্যা বলা, গিবত করা, অশ্লীল কাজ করা, অশ্লীল কথা বলা, গালিগালাজ করা, গান শুনা, সিনেমা, ভিডিও দেখা মাকরুহ।

* কোনো প্রয়োজন ও কারণ ছাড়া কোনো কিছু চিবানো, তরকারি বা কোনো খাবারের স্বাদ আস্বাদন করা মাকরুহ।

* রোজা রেখে অজুতে কুলি ও নাকে পানি দেওয়ার সময় অনেক বেশি পানি নেওয়া মাকরুহ।

* রোজা রেখে মুখের ভেতর থুথু জমা করে গিলে ফেলা মাকরুহ।

* টুথপেস্ট বা মাজন দিয়ে দাঁত মাজা মাকরুহ। আর পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজার সময় তা পেটে চলে গেলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।

* দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা থাকলে শিঙা লাগানো মাকরুহ।

* সন্দেহযুক্ত সময় পর্যন্ত বিলম্ব করে সাহরি খাওয়া মাকরুহ।

* সেহরি ও ইফতার ছাড়া ধারাবাহিকভাবে একাধিক দিনের রোজা রাখা মাকরুহ।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |