বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৭ অপরাহ্ন
পি কাগজ ডেস্ক:
মাদক!! এক ভয়াল থাবা! এক ভয়ানয় ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার!!ষড়যন্ত্র আর বাংলাদেশ যেন একে অপরের কঠিন যুগল!২৩ বছরের শোষন, বঞ্চনা, নিপিড়ন এবং নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম শেষে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যখন বিজয়ের দারপ্রান্তে ঠিক তখনি এ জাতী যাতে মাথা উঁচু করে দাড়াতে না পারে সেই হীন ষড়যন্ত্রে দেশ বিরোধীরা ১৪ ডিসেম্বর এদেশের বুদ্ধিজীবীদের ধরে ধরে হত্যা করে।তারপরও যখন বাংলাদেশ জাতীর পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছিল স্বপ্নের সোনার বাংলার পথে তখনই আবার ষড়যন্ত্র!! ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে স্বপরিবারে হত্যার মাধ্যমে থমকে দিয়েছিলো এ দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা!! অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীপ্ত পায়ে হেটে চলেছে স্বপ্নের সোনার বাংলার পথে। আজ দেশের টাকায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু স্বগৌরবে দাড়িয়ে আছে প্রমত্তা পদ্মার বুক চীরে।মহাকাশে বিজয় নিশান উড়াচ্ছে বঙ্গবন্ধু -১।মেট্রোরেল আর উড়াল সড়কে ঢাকার উপরে আজ আর এক ঢাকা শহর!!
উন্নয়ন অগ্রগতির সকল প্যারামিটারসে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বের কাছে রোল মডেলে পরিনত।পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যখন সেদেশ কে সিংগাপুর বানাবেন বলে বলেন তখন জনগন তাঁকে বলেন আল্লাহ কো নামে হামছে বাংলাদেশ বানাদে।আজ অন্যদেশের কাছে বাংলাদেশ অনুকরণীয় অনুসরণীয়!! কোন ষড়যন্ত্রেই যখন বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থামানো সম্ভব নয় তখন সর্বশেষ ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে মাদক কে।আজ আমার দেশে এত মাদক কেনো???বাংলাদেশে তো এক কেজি মাদক উৎপাদন হয়না।তবে কেনো এতো মাদক সয়লাব হবে এদেশে??
এ প্রশ্ন কি কখনো মনে জাগে না??কাটা তারের বেড়ায় মাসুম ফেলানীর মৃতদেহ দেখতে পাই,অহরহই শুনতে পাই গরু আনতে গিয়ে এদেশের রাখাল ওপারের সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে মারা গেছে।কখনো কেউ শুনেছি গাঁজা ব্যাবসায়ী বা ফেনসিডিল ব্যাবসায়ী মাদক আনতে গিয়ে গুলি খেয়েছে???কিসের আলামত তবে এটা?? ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার দেশে মাদক ঠুকানো নয় কি??একটু ভাবুন তো বেক্সিমকো ফার্মা এর প্যারাসিটামল প্রিপারেশন নাপা নামে বাজারে বিক্রি হয়,অন্য কোন কোম্পানি কি নাপা নাম দিয়ে প্যারাসিটামল বাজারে বিক্রি করতে পারবে???ঠিক তেমনি ফেনসিডিল একটা কোম্পানির কফ সিরাপ।অন্য কোম্পানি কি একই নামে ওষুধ তৌরী করতে পারে???
নিশ্চই না!!অবাক করা সত্যিটা হলো বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ওপারে নুন্যতম ১০০ কারখানায় ফেন্সি ডিল বানানো হয়।উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে এই মাদক আমার দেশে ঢুকানো হচ্ছে ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার স্বরূপ। টার্গেট যুব সমাজ!! যে উন্নত সোনার বাংলার স্বপ্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেখাচ্ছেন ২০৪১ সালের সেই সোনার বাংলা যারা লিড দিবেন তারা যেনো মেধা মনন শুন্য হয় এটাই টার্গেট!! মাদক দিয়ে দেশ শাসনের ষড়যন্ত্রের শিকার অতীতে অনেক দেশই হয়েছিল। বাংলাদেশই প্রথম নয়।আমরা অনেকেই জানি বৃটিশরা তাদের অর্থলিপ্সার হাতিয়ার হিসেবে চীনে আফিম রপ্তানি করতো।চীনের যুবসমাজ থেকে শুরু করে সমাজপতি পর্যন্ত সব আফিমের নেশায় বূহ্য হয়ে পরে থাকত।এই সুযোগ নিত বৃটিশরা। ১৮৩৯ সালে বৃটিশদের এই হীন চক্রান্ত বুঝতে পেরে সে সময়কার এক দেশ প্রেমিক সম্রাট আফিমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। আফিম ভর্তি জাহাজ ডুবিয়ে দেন সাগরে।ওয়ার অফ অপিয়াম ১ এবং ১৯৫৬ সালে ওয়ার অফ অপিয়াম -২ উভয় যুদ্ধে চীন পরাজিত হলেও চীনাদের মাদক বিরোধী যে মনোভাব জাগ্রত হয়েছিল সেই অনুধাবনবোধ থেকেই ঘুরে দাড়িয়েছে চীন!!আজ চীন সারা বিশ্বের কাছে সকল দিক থেকে অনুকরণীয় অনুসরণীয় বিশ্ব মোড়লদের একজন।চীন পেরেছে!!পেরেছে অন্যরা!!
তবে কেনো নই আমরা??যে দেশের মানুষের মাথার উপর ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের ঋনের বোঝা,যে দেশের আকাশ বাতাসে দুই লক্ষ সম্ভ্রম হারানো মা বোনের গগন বিদারী আর্তনাদ ভাসে আজো, সেই দেশের আগামী প্রজন্ম আমরা কি পারবোনা এই মাদক ষড়যন্ত্র রুখতে??? আসুন আজ শুধু প্রধানমন্ত্রী নয় দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে সম্মিলিত ঐক্য গড়ে তুলি মাদক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে! সমবেত স্বরে আজ উচ্চারন করি “রক্তে কেনা সোনার দেশ মাদক সদা করছে শেষ। দীপ্ত করি অঙ্গীকার, মাদকমুক্ত দেশ গড়ার। মোঃ আশিকুর রহমান পিপিএম অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা,কুড়িগ্রাম।