সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন

আপডেট
কুড়াতলী পুলিশ বক্সের সামনে ট্রাকের ধাক্কায় পুলিশ নিহত ভুটানকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে সাফের ফাইনালে বাংলাদেশের মেয়েরা কুলিয়ারচরে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প গোয়ালন্দে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন রাজশাহী বিভাগীয় প্রেসক্লাব গঠনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  বাকৃবিতে কৃষক প্রশিক্ষণ ও গাজর—টমেটোর বীজ ও চারা বিতরণ আশুলিয়ায় পুলিশের অভিযানে হত্যা মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ১০ সাংবাদিকের ওপর হামলা, আ. লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা গ্রেপ্তার! এবার হারুনসহ সাবেক ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা
৩ বাংলাদেশির শরীরে ওমিক্রনের নতুন উপধরন শনাক্ত

৩ বাংলাদেশির শরীরে ওমিক্রনের নতুন উপধরন শনাক্ত

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে তিন ব্যক্তির শরীরে করোনার ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট (উপধরন) শনাক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রোনার এই নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য ও জেনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক আক্রান্ত তিনজনের শরীর থেকে সংগৃহীত ভাইরাসের আংশিক (স্পাইক প্রোটিন) জিনোম সিকুয়েন্সের মাধ্যমে করোনার নতুন এই উপধরনটি শনাক্ত করে। তবে আক্রান্ত তিনজনই যশোরের বাসিন্দা।

গবেষক দলটি জানান, ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত তিনজন ব্যক্তিই পুরুষ। তাদের একজনের বয়স ৫৫ এবং বাকি দুজনের বয়স ৮৫ বছর। তাদের মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যরা বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্তদের শরীরে জ্বর, গলাব্যথা, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন মৃদু উপসর্গ রয়েছে। BA.2.75 সাব-ভ্যারিয়েন্টে স্পাইক প্রোটিনে ওমিক্রনের BA.2 ভ্যারিয়েন্টের মতোই মিউটেশন দেখা যায়। তবে তার সঙ্গে দুটি রিভার্সন মিউটেশন G446S এবং R493Q দেখা যায়।

তারা আরও জানান, ওমিক্রনের এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি জুলাই মাসে ভারতে প্রথম শনাক্ত হয়েছে। আর আগস্টে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হয়। ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিরাও এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। আগামী দিনে এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট বর্তমানে সংক্রমণশীল অন্যান্য সাব-ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় বেশি সংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।

যবিপ্রবির উপাচার্য ও জেনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ওমিক্রনের এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সহজেই ফাঁকি দিতে সক্ষম। এ কারণে মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই। অচিরেই পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকুয়েন্স করে এ বিষয়ে আরও তথ্য জানা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তকরণের কাজ জিনোম সেন্টারে অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে করোনার নতুন এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তে গবেষক দলের অন্য সদস্যরা হলেন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসান মো. আল-ইমরান, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর ইসলাম, ড. সেলিনা আক্তার, ড. অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, জিনোম সেন্টারের গবেষণা সহকারী প্রশান্ত কুমার দাস, মো. আলী আহসান সেতু প্রমুখ।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |