খন্দকার সেলিম রেজা, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: নরসিংদীতে পরিবহন থেকে চাঁদা আদায়ের সময় বাধা দেওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন শামীমের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে নরসিংদী পৌর শহরের আরশীনগর এলাকায় ঘটে।
জানা যায়, ওই দিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম আরশীনগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করার সময় দুইজনকে হাতেনাতে আটক করেন। এরপর প্রায় ৪০–৫০ জনের একটি সঙ্গত চাঁদাবাজ দল পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আটক দুইজনকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
এই হামলায় গুরুতর আহত হন এএসপি শামীম। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সোহেল আহমেদ হামলার প্রতিবাদে নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আরও ২৫–৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। নরসিংদী পুলিশ সুপার মোঃ মেনহাজুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পূর্ব ব্রাহ্মন্দী গ্রামের শামসুল হক খন্দকারের ছেলে শফিকুল ইসলাম সুমন (৪৪), দত্তেরগাঁও ভিটিপাড়া গ্রামের বিরাজ খাঁর ছেলে কুদরত হাসান রবিন (২৩), হাজীপুর গ্রামের রকিব খাঁ (৩০), ব্রাহ্মন্দী গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে মো. সোহাগ মিয়া (৩৫), বৌয়াকুড় গ্রামের শওকত মিয়ার ছেলে মো. তানভীর মিয়া (২২) এবং ফুলপুর গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে শান্ত মিয়া (২৩)।
পুলিশ জানিয়েছে, বাকি একজনের নাম পরে প্রকাশ করা হবে। বাকি আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এসপি মো. মেনহাজুল আলম বলেন, “পুলিশের ওপর হামলা ন্যাক্কারজনক এবং গ্রহণযোগ্য নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
ঘটনাস্থল ও আশপাশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
আপনার মতামত লিখুন :