‎মিরসরাইয়ে এক রাতে সিরিজ চুরি, অধরা চোরের দল

অনলাইন ডেস্ক , প্রতিদিনের কাগজ

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ০৫:১৪ পিএম

ছবি- প্রতিদিনের কাগজ

নুর হোসেন মিয়া, মিরসরাই: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গত কয়েক মাস ধরে একের পর এক চুরির ঘটনায় দিশেহারা হয়ে উঠেছে মানুষ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ, গরু, ঘর বাড়ি,মোটরসাইকেল কিছুই রেহাই পায়নি সংঘবদ্ধ চোর দলের কবল থেকে৷ পাশাপাশি ঘটছে ডাকাতির মতো ঘটনা।

উপজেলার মিরসরাই থানাধীন বড় কমলদহ ডাকঘর বুড়া হুজুরের মাজারের পাশে এন.এস কম্পিউটার এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ৫ টি ল্যাপটপ, প্রায় ৬০ হাজার নগদ টাকা ও ওয়াইফাই সরঞ্জাম চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল৷ এছাড়া খৈয়াছড়া ইউনিয়নের দুয়ারু মিঝি বাড়ী থেকে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে৷ এর আগের রাতে মিরসরাই পৌর সদরে এনজিও প্রতিষ্ঠান ইপসা কার্যালয় থেকে একসাথে ৩টি বাইক চুরির ঘটনা ঘটেছে৷ বাইক চুরির ঘটনা গুলো সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে।

এছাড়া উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন ইছাখালী ইউনিয়নে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলমের ২ টি, জসিম উদ্দিনের ১ টি এবং রেজাউল করিমের ২ টিসহ ৫ টি গরু একই বাড়ির আলাদা আলাদা গোয়াল ঘর থেকে চুরি হয়েছে। অন্যদিকে  বারইয়ারহাট মধ্যম জামালপুর জালাল আহম্মদ এর বাড়ী থেকে একটি টিউবওয়েল চুরি হয়েছে। বিভিন্ন চুরির ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ থাকার পরও চুরি হওয়া জিনিস উদ্ধার কিংবা কোনো চোরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এ ঘটনায় পুলিশের নীরব ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা৷ তবে বেশিরভাগ চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেন তারা৷ তাই অভিযোগ না পাওয়ার প্রেক্ষিতে পুলিশের কাজের ব্যাপ্তিও কমে যায় বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা৷

এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আবদুল হালিম বলেন, অপরাধ দমনে পুলিশ সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছে৷ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অপরাধীদের অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে৷ বিভিন্ন এলাকায় চুরি বেড়েছে৷ তাছাড়া চুরির বিষয়ে ভুক্তভোগীরা আইনি ঝামেলার কারণে অভিযোগ দেয় না৷ তবে পুলিশ কাজ করছে পরিস্থিতি শৃঙ্খলায় ফেরাতে৷ 

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, শুধু মিরসরাই না চুরি সারাদেশে বেড়েছে৷ এটার অনেক কারণ৷ আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মামলায় অপরাধীদের গ্রেফতার করে চালান করছি আদালতে এটি দৃশ্যমান৷ অন্যদিকে উপজেলার জনসংখ্যার তুলনায় পুলিশের সংখ্যা অপ্রতুল৷ সারারাত বিভিন্ন বাজার, গ্রাম টহল দেয়ার পরও পুরো এলাকা এত অল্প সংখ্যক পুলিশ সদস্য দিয়ে কাভার দেয়া কষ্টসাধ্য৷ স্থানীয় তরুণ যুবকরা চুরি দমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে৷ পালাক্রমে পাহারা দিয়ে নিজ নিজ এলাকায় চুরি ঠেকাতে পারে৷ জনসাধারণের ব্যক্তি সচেতনতা বাড়াতে হবে৷ 

Link copied!