সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনের নির্দিষ্ট কর্মকর্তার পক্ষপাতের অভিযোগ

মনসুর আলম মুন্না , স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ০৪:২৬ পিএম

কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টে পুরাতন ঝিনুক ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা। দীর্ঘদিন ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঝিনুক ও সামুদ্রিক পণ্যের ব্যবসায় জড়িত শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট জেলা প্রশাসনের নির্দিষ্ট কিছু কর্মকর্তাকে ব্যবহার করে তাদের বৈধ ব্যবসা স্থান দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১.৩০ মিনিটে সুগন্ধা পয়েন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে “বৃহত্তর সুগন্ধা ঝিনুক ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতি” এ অভিযোগ তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি জালাল আহমেদ ও সংগঠনের সভাপতি জয়নাল আবেদীন এবং তার সাথে থাকা সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

তাদের অভিযোগ, “আমরা কোনো অবৈধ দখলদার নই। প্রশাসনের অনুমোদিত স্থানে বহু বছর ধরে ব্যবসা চালিয়ে আসছি। এখন হঠাৎ করে মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করে আমাদের উচ্ছেদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, যাতে সিন্ডিকেটচক্র নতুন ব্যবসায়িক গোষ্ঠীকে জায়গা বুঝিয়ে দিতে পারে।”

ব্যবসায়ীরা জানান, এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে শত শত পরিবার ও শ্রমিক। উচ্ছেদের ফলে তাদের জীবিকা যেমন ধ্বংস হবে, তেমনি পর্যটনকেন্দ্রিক স্থানীয় ঐতিহ্যেরও ক্ষতি হবে।

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা প্রশ্ন তোলেন, “প্রশাসন কেন জনগণের বিপরীতে দাঁড়াচ্ছে? কাদের স্বার্থে আমাদের মতো পুরনো ব্যবসায়ীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে?”

তারা জেলা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করতে এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে সমাধানের পথ খুঁজতে।

নেতারা বলেন, “আমরা ন্যায় ও আইনের পথে আছি। কিন্তু কোনোভাবেই সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্র মেনে নেব না। কক্সবাজারের উন্নয়ন হবে স্থানীয়দের সম্মান ও অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে, উচ্ছেদ করে নয়।”

সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান “আপনারা সত্যটি জনগণের সামনে তুলে ধরুন। প্রশাসনের ভেতরে থাকা সিন্ডিকেটচক্রের অপচেষ্টা ব্যর্থ করুন, যাতে পুরাতন ঝিনুক ব্যবসায়ীরা ন্যায্য অধিকার ফিরে পায়।”

উল্লেখ্য, কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্ট পর্যটন কেন্দ্রের অন্যতম আকর্ষণ ঝিনুক ও সামুদ্রিক পণ্যের দোকানগুলো। এ দোকানগুলোর মাধ্যমে পর্যটকরা শুধু স্মৃতিচিহ্ন সংগ্রহ করেন না, স্থানীয় অনেক পরিবারও এর মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। অথচ সম্প্রতি নতুন ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর জন্য পুরাতন দোকানগুলো উচ্ছেদের উদ্যোগে এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উদ্বেগ ও ক্ষোভ।

Link copied!