বাউন্ডারি ওয়াল ভাঙাকে কেন্দ্র করে জলঢাকায় দুই বিদ্যালয়ের মধ্যে উত্তেজনা

ছবি- প্রতিদিনের কাগজ

নীলফামারীর জলঢাকায় বাউন্ডারি ওয়াল সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর ২৫) সকালে জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের নেকবক্ত বাজার এলাকায় অবস্থিত নেকবক্ত স্কুল এন্ড কলেজের নির্মাণাধীন বাউন্ডারী ওয়াল ভেঙে দিয়েছে নেকবক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এমন অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে একটি শান্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার অভিযোগ তুলেছেন নেকবক্ত স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম।

প্রত্যক্ষদর্শী ইব্রাহিম হোসেন জানান, “নেকবক্ত স্কুল এন্ড কলেজের তত্ত্বাবধানে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণের কাজ চলছিল। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সীমানার ভেতরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ হাত জায়গায় একটি অকার্যকর ওয়াশ ব্লক ছিল। সেই অংশটি দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জায়গাটি সংরক্ষণের জন্য দেয়াল তুলছিল। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহিদুল ইসলাম শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে সেই দেয়াল ভেঙে দেন।

নেকবক্ত স্কুল এন্ড কলেজের অফিস সহায়ক গোলাপ হোসেন বলেন, “আমাদের নির্মাণাধীন দেয়ালটি শিক্ষকের প্ররোচনায় শিক্ষার্থীরা ভেঙে দেয়। আমি বাধা দিলে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, নেকবক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লায়লা বেগম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের নির্মিত ওয়াশ ব্লক কৌশলে নিজেদের দখলে নিচ্ছে মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও টিও স্যারকে জানানো হয়েছে। তদন্তের পর তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামান্য কিছু জায়গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অংশের মধ্যে পড়ে। ইতিপূর্বে আমরাই জায়গাটি ব্যবহার করতাম। বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নিরাপত্তা ও সৌন্দর্য রক্ষায় আমরা সেটি ঘিরে রাখার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এমন আচরণ দুঃখজনক।

স্থানীয়রা জানান, দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চলমান এই টানাপোড়েন শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

অভিভাবক মহল প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, শিক্ষকদের ব্যক্তিগত বিরোধে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার অমানবিক। প্রশাসন যদি সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়, তাহলে এই বিভেদ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী শিশুদের মাধ্যমে রাজনীতি করা বন্ধ হবে।

Advertisement

Link copied!