রাজবাড়ী পাংশা উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক গৃহবধূ। বাদী মোছাঃ লিপি আক্তার (৩৫) গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজবাড়ীর বিজ্ঞ পাংশা আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১১ জুন বিকেল ৫টার দিকে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা শিল্পকলা রোডে অবস্থিত দিশা মেডিকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান ৫ মাসের গর্ভবতী লিপি আক্তার, যিনি কালুখালী উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বাদীর অভিযোগ, চিকিৎসক ডাঃ আনজুয়ারা সুমি-যিনি বর্তমানে রাজবাড়ী উপজেলার কলিমহর মেডিকেল ইনস্টিটিউটে শিক্ষক হিসেবে প্রেষণে কর্মরত এবং পাশাপাশি দিশা মেডিকেয়ার সেন্টারে চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন-তাঁর জানামতে গর্ভবতী রোগীকে গর্ভপাত ঘটানোর উদ্দেশ্যে বিনা সম্মতিতে ওষুধ দেন। পরবর্তীতে ওই ওষুধ সেবনের ফলে লিপি আক্তারের পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হয় এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখা দেয়। এ অবস্থায় তাঁকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে ১৮ জুন ২০২৫ তারিখে তাঁর গর্ভপাত ঘটে।
বাদী অভিযোগ করেন, আসামি ডাঃ সুমি একজন অর্থলোভী ও দায়িত্বহীন চিকিৎসক, যিনি রোগীর জীবন রক্ষার্থে নয় বরং ইচ্ছাকৃত ভাবে গর্ভপাত ঘটিয়েছেন।
অপরদিকে, ডাঃ আনজুয়ারা সুমি তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। তিনি জানান আমি রোগীর চিকিৎসায় যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি এবং তাকে কোনো ধরনের ক্ষতিকর ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেইনি। বরং রোগীর আগেও একাধিকবার গর্ভপাতের ইতিহাস রয়েছে। বাদী পক্ষের আইনজীবি জাহিদ হোসেন জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তা সিআইডিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :