জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত, আহত ৫

অনলাইন ডেস্ক , প্রতিদিনের কাগজ

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত এলাকায় ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা ও কাভার ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে চাঁন মিয়া (৬৫), শিক্ষার্থী আরিফা খাতুন পলি (২৮), রাশেদ মিয়া (৩০) ও অজ্ঞাত নামের একজনসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরশ (৫) নামে এক শিশুসহ আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১টার দিকে সদর উপজেলার দিগপাইত এলাকার টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের নারায়নপুর এলাকার ময়েজ উদ্দিনের ছেলে চাঁন মিয়া, সরিষাবাড়ি উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সানাকুর এলাকার হায়দার আলীর ছেলে রাশেদ মিয়া এবং একই ইউনিয়নের উচ্চগ্রাম এলাকার শরিফ আহম্মেদের স্ত্রী।

তিনি জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়াও এই দুর্ঘটনায় এক নারী মারা গেছেন, তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

আহতরা হলেন, সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের নারায়নপুর এলাকার চাঁন মিয়ার স্ত্রী সন্ধ্যা বেগম (৫০), একই উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের তয়েজ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০), দিগপাইত এলাকার চাঁন মিয়ার মেয়ে সাদিকা আক্তার (২৫), একই এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে ফারজানা বেগম (২২) ও সরিষাবাড়ি উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের উচ্চগ্রামের শরিফ আহম্মেদের ছেলে আরশ (৫)। জানা গেছে, আহত শিশু আরশ হলেন নিহত আরিফা খাতুন পলির ছেলে।

এদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশু আরশ, সাদিকা আক্তার ও সন্ধ্যা বেগমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, জামালপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া টাঙ্গাইলগামী কাভার ভ্যানের সাথে জামালপুর শহরগামী ব্যাটারী চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় রাশেদ মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত চাঁন মিয়া, আরিফা খাতুন পলি, সন্ধ্যা বেগম, জাহাঙ্গীর আলম, সাদিকা আক্তার, ফারজানা বেগম ও শিশু আরশ আহত হন।

পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক গুরুতর আহত আরিফা খাতুন পলিকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত চাঁন মিয়াকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

অপরদিকে, জাহাঙ্গীর আলম ও ফারজানা বেগম জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর আহত শিশু আরশ, সাদিকা আক্তার ও সন্ধ্যার অবস্থার সঙ্কটাপন্নতা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুস সাকিব বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে এক নারীর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় কাভার ভ্যানটি আটক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Advertisement

Link copied!