ময়মনসিংহের জামিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষক–শিক্ষার্থী দ্বন্দ্বকে ঘিরে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোফিদুল আলমকে বিব্রত করা এবং তাঁকে প্রত্যাহারের উদ্দেশ্যে কোটি টাকার লেনদেনের আভাস পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি দুর্নীতিবাজ চক্র, প্রতারক জমির দালাল এবং নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কিছু প্রভাবশালী নেতা এই ঘটনার সুযোগ নিয়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
সূত্রের দাবি, ভারত থেকে কয়েকজন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা ইন্ধন দিয়ে ঘটনাটিকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার পাশাপাশি কিছু মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অর্থের বিনিময়ে আন্দোলনে উস্কে দিচ্ছেন। শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে জেলা প্রশাসকের বদলির দাবিতে রূপান্তরিত করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য বলে জানা গেছে।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, টাকার লেনদেন ও রাজনৈতিক প্রভাবে পরিচালিত এসব কর্মকাণ্ডের কারণে মাদ্রাসা ও প্রশাসনের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রশাসন শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সকলকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অর্থ ও প্রভাবের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের উপর চাপ সৃষ্টি এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ গণতন্ত্র ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতার জন্য মারাত্মক হুমকি। তাই ঘটনাটির নিরপেক্ষ তদন্ত, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত—তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন ময়মনসিংহবাসী।
আপনার মতামত লিখুন :