জামিয়া ইস্যুতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ওলামা লীগের ইন্ধন, চিহ্নিতকরণে মাঠে গোয়েন্দা সংস্থা

নিজস্ব সংবাদদাতা , প্রতিদিনের কাগজ

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম

ছবি- (কোলাজ) প্রতিদিনের কাগজ

ময়মনসিংহের জামিয়া মাদ্রাসার সাম্প্রতিক শিক্ষক–শিক্ষার্থী দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে প্রশাসনকে বিব্রত করা এবং জেলা প্রশাসক (ডিসি) মফিদুল আলমকে বদলির দাবিতে আন্দোলনের পেছনে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ওলামা লীগের নেতাদের ইন্ধনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের তালিকা প্রস্তুত করছে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ওলামা লীগের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তারা গোপনে কিছু শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ব্যক্তিকে অর্থের প্রলোভন দিয়ে আন্দোলনে উস্কে দিচ্ছে বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্র বলছে, জামিয়া মাদ্রাসার অভ্যন্তরীণ একটি দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা এবং রাজনৈতিকভাবে বিষয়টিকে ব্যবহার করাই এই চক্রের মূল উদ্দেশ্য। জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহারের দাবি সামনে এনে প্রশাসনকে চাপে ফেলতে তারা পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে।

গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ ঘটনায় কারা ইন্ধন দিচ্ছে, কারা টাকা সরবরাহ করছে এবং কোথা থেকে অর্থ আসছে—সব তথ্য আমরা সংগ্রহ করছি। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের শনাক্তের কাজ শুরু হয়েছে। প্রমাণ মিললেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শিবিরুল ইসলাম বলেন, জামিয়া ইস্যুতে ওলামা লীগের কোনো নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা তদন্ত চলছে। তালিকা হাতে এলে দ্রুতই অভিযান শুরু হবে।”

স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাদের এমন হস্তক্ষেপ প্রশাসনিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি। এতে শিক্ষাঙ্গন ও সামাজিক পরিবেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ময়মনসিংহের সচেতন নাগরিক ও বিশিষ্টজনেরা দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে ইন্ধনদাতা ও অর্থদাতাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

Link copied!