ইইডিতে দুর্নীতি ও দলীয় প্রভাবের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি , প্রতিদিনের কাগজ

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:২৩ এএম

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি)-এর কিছু কর্মকর্তা দলীয় প্রভাব ও স্বার্থ থেকে মুক্ত হননি। বিশেষত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামানের নাম উঠেছে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে।

অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, আসাদুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে, তাদের ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের কোটি টাকার প্রকল্প পাইয়ে দিচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৩২ কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এবং রূপগঞ্জের পূর্বাচল সরকারি মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩৫ কোটি টাকার প্রকল্প বিশেষভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হয়েছে।

সরকার পরিবর্তনের পরও কিছু পলাতক ঠিকাদার তার আশ্বাসে বিল আদায় চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া দিনাজপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আলমের মালিকানাধীন “মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজ”কে ইইডি বারবার অগ্রাধিকার দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি লাইসেন্স ভাড়া বাবদ রাজনৈতিক তহবিলে কমিশন দিচ্ছে।

ইইডির নথি অনুযায়ী, আসাদুজ্জামান রংপুর, নাটোর, পটুয়াখালী, ঝিনাইদহ, নওগাঁ ও ঢাকায় দায়িত্ব পালনকালে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে জড়িত ছিলেন। সহকর্মীরা বলছেন, প্রকল্প বণ্টন, বিল অনুমোদন ও দায়িত্ব বণ্টনের মাধ্যমে তিনি দীর্ঘদিন “প্রভাবশালী” ছিলেন।

এছাড়া এসিআর জালিয়াতির মাধ্যমে পদোন্নতি পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। ইইডির অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, আসাদুজ্জামান মূল বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা না দিয়ে পদোন্নতি গ্রহণ করেছেন।

দূর্নীতি, ঠিকাদার সিন্ডিকেট ও দলীয় প্রভাব মিলে ইইডিকে বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণত করেছে, যেখানে শিক্ষার উন্নয়ন প্রকল্পও প্রভাবিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো অভিযোগ যাচাই করছে। অভিযোগের বিষয়ে মো. আসাদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি প্রতিক্রিয়া দেননি।

Link copied!