দক্ষিণ কোরিয়ায় আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনের সময় উত্তর কোরিয়া তাদের পশ্চিম ইয়োলো সাগরে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দুই ঘণ্টারও বেশি সময় উড়ে সঠিকভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক-সক্ষম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার কয়েক ঘণ্টা পরে টোকিও থেকে দক্ষিণ কোরিয়া পৌঁছেন ট্রাম্প। সেখানে সিইওদের একটি শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দেবেন এবং ঐতিহাসিক শহর গিয়াংজুতে লির সাথে দেখা করবেন ট্রাম্প।
কেসিএনএ জানিয়েছে, নতুন এই অস্ত্র দেশের পারমাণবিক-সশস্ত্র সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে সনাক্তকরণের তথ্য নিশ্চিত করেনি।
পরীক্ষায় উত্তর কোরিয়ার ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা পাক জং চোন উপস্থিত ছিলেন। তিনি নতুন ডেস্ট্রয়ার চো হিওন ও কাং কন- এর নাবিকদের প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করেছেন। কিম জং উন নৌবাহিনী শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এই জাহাজগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গত সপ্তাহের স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর এটি সর্বশেষ উৎক্ষেপণ। এতে নতুন হাইপারসনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানকালে কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক সম্ভাবনা প্রকাশ করেছেন। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা সম্ভাবনা কম বলছেন।
২০১৯ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কিমের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনার ব্যর্থতার পর থেকে উত্তর কোরিয়া ওয়াশিংটন ও সিউলের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসেনি। কিমের বিদেশ নীতি বর্তমানে রাশিয়ার দিকে ঝুঁকেছে; ইউক্রেনে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে নতুন শীতল যুদ্ধের কৌশল অনুসরণ করছে।
উত্তর কোরিয়া পুনর্ব্যক্ত করেছে, মার্কিন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের দাবি প্রত্যাহার না হলে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ফিরবে না।
আপনার মতামত লিখুন :