আরিফুর রহমান, লক্ষ্মীপুর সদর: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার ১২নং চরশাহী ইউনিয়নে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত যুবদল নেতা মোক্তার হোসেন প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নিয়েছেন। রবিবার (৭ডিসেম্বর)বিকালে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ও হাতকড়া পরা অবস্থায় তাকে জানাজার মাঠে আনা হয়। পারিবারিক সূত্র বলছে, মায়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে মোক্তার প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেছিলেন। আইন অনুসারে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মানবিক কারণে তাকে জানাজায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
স্থানীয় কয়েকজনের দাবি-রাজনৈতিক রোষানলে পড়ে প্রতিহিংসামূলকভাবে তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মোক্তার হোসেন, ২০১৪ সালের ২১ মে চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান ভূঁইয়াকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ঘটনার চারদিন পর মান্নানের স্ত্রী অজ্ঞাত পরিচয়ে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে ডিবি পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে-৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মোক্তার হোসেন (পিতা: মফিজ উল্যা, গ্রাম: পূর্ব সৈয়দপুর) যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের একজন, যিনি ঘটনার পর ১১ বছর পলাতক ছিলেন। র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে থাকার পর চলতি বছর ঢাকার পল্লবী থানা এলাকার সেকশন-১২ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। জানাজা শেষে আবারও পুলিশের হেফাজতে।
আনুষ্ঠানিকতা শেষে নির্ধারিত সময় শেষ হলে মোক্তার হোসেনকে পুলিশ পুনরায় হেফাজতে নিয়ে যায়। পুরো সময় মাঠে পুলিশের টহল ও কড়া নিরাপত্তা দেখা যায়।
আপনার মতামত লিখুন :