ইনামুল খন্দকার, মধুখালী: ফরিদপুর–১ আসনের আওতাধীন তিন থানার নবগঠিত বিএনপি কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, এই কমিটিগুলোতে অন্তত ২৭ জন ব্যক্তি রয়েছেন যারা অতীতে আওয়ামী লীগ বা বিএনএম–এর বিভিন্ন কমিটিতে ছিলেন।
এই অভিযোগের প্রতিবাদে মধুখালী উপজেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক ছাত্রনেতা ইকবাল হোসেন, যিনি স্থানীয়ভাবে ‘ভিপি ইকবাল’ নামে পরিচিত। এদিকে মধুখালী পৌরসভা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা বিপ্লব হোসেন মোল্যা, তিনি মধুখালী সরকারী আইনউদ্দিন কলেজের সাবেক ভিপি ছিলেন।
জেলা বিএনপির কাছে জমা দেওয়া এক স্মারকলিপিতে ভিপি ইকবাল উল্লেখ করেন, “আমার সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই আমাকে তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে। কিন্তু কমিটি প্রকাশের পর দেখি, এতে এমন অনেক ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন যারা অতীতে কখনো বিএনপির রাজনীতিতে ছিলেন না। বরং তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং আমাদের নেতা–কর্মীদের হয়রানির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।”
স্মারকলিপিতে তিনি আরও বলেন, এই অবস্থায় নীতিগত ও আদর্শিক কারণে এই কমিটিতে থাকা আমার জন্য অত্যন্ত কষ্টকর ও লজ্জাজনক। তাই স্বেচ্ছায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ভিপি ইকবাল বর্তমানে মধুখালী উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, বিএনপি হলো ত্যাগী ও আন্দোলন–সংগ্রামে পরীক্ষিত কর্মীদের সংগঠন। সেখানে সুযোগ সন্ধানীদের স্থান দেওয়া হলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে যাবে। একই অভিযোগ উল্লেখ করে সাবেক ছাত্রদল নেতা বিপ্লব হোসেন মোল্যা (২৯ অক্টোবর) ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহব্বায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেন।
জানা গেছে, গত ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে ফরিদপুর জেলা বিএনপি মধুখালী উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে। ওই কমিটি প্রকাশের পর থেকেই তৃণমূল বিএনপির একটি অংশ এতে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপি নেতাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :