রাশেদ, সারিয়াকান্দি: বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে গত ১০ মাস ধরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও একাডেমি সুপারভাইজার পদ শূন্য থাকার ফলে চরম ব্যাঘাত ঘটছে উপজেলার শিক্ষা কার্যক্রমে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিন পর্যন্ত সারিয়াকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন সরোয়ার ইউসুফ জামান ও একাডেমিক সুপারভাইজার ছিলো মিলন হোসেন। শিক্ষা অফিসার অবসরে যান ও একাডেমিক সুপার ভাইজার বদলি হয়ে যাওয়ার পর শিক্ষা কর্মকর্তা ও একাডেমিক সুপারভাইজার পদটি শূন্য হয়ে যায়।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অবসরে যাওয়ার পর থেকেই গাবতলি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত হিসেবে সারিয়াকান্দির দায়িত্বও দেওয়া হয়। তবে এতে শিক্ষা কার্যক্রমে যে ব্যাঘাত হচ্ছে তা পুরোপুরি কাটেনি। ফলে প্রধান শিক্ষকদের কাজে সহযোগিতা, সরকারি নির্দেশনা ও পরামর্শ অনুসরণ এবং বাস্তবায়ন, চাহিদাভিত্তিক শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ ও মাধ্যমিক শিক্ষার নতুন নতুন ধ্যান-ধারণা-পাঠদান বিষয়ে প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শন, বিদ্যালয়ের পাঠদানের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য শিক্ষকদের পরামর্শ, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন, শিক্ষক নিয়োগ কমিটি গঠন এবং শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা সহ বিভিন্ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সারিয়াকান্দি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সারিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি সাকী মো. জাকিউল আলম বলেন, দশ মাস হলো উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় স্কুলগুলোর অফিসিয়াল কাজ থেকে শুরু করে শিক্ষার উন্নয়নের ক্ষেত্রে নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। ঠিকমতো স্কুলের কাগজপত্রের জমা দেওয়া ও শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরামর্শ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষকরা। সারিয়াকান্দি উপজেলার পিছিয়ে পড়া শিক্ষার মান উন্নয়নে নিয়মিত মাধ্যমে শিক্ষা কর্মকর্তা দরকার।
মথুরপাড়া কাজী বছির উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের সভাপতি মো. তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষা অফিসার না থাকায় কিছু সমস্যা হয়। একজন শিক্ষা অফিসার সারিয়াকান্দিতে থাকলে শিক্ষার মান আরো উন্নত হবে। শিক্ষা কর্মকর্তা থাকলে কোন পরামর্শ বা সহযোগিতা লাগলে যেকোন সময় পাওয়া যেত।
এ বিষয়ে সারিয়াকান্দির ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি শিক্ষা অফিসের ব্যাপার তারপরও আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। যত দ্রুত সম্ভব সারিয়াকান্দি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার যেন দেওয়া হয়।
বগুড়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ বলেন, সারিয়াকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার খালি পদে আপাতত গাবতলির যিনি দায়িত্ব আছেন তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একজন একাডেমিক সুপারভাইজার দেওয়া হয়েছিলো সে আবার ডেপুটেশনে আছে। তবে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ও শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতা হচ্ছে। সারিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার শূন্য পদে কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :