সড়ক যেন মৃত্যুর ফাঁদ নয়, বরং নিরাপদ যাত্রার পথ হয়,এ লক্ষ্য সামনে রেখে গাজীপুরে উদযাপিত হয়েছে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৫। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ গাজীপুর সার্কেলের যৌথ উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়।
“মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি” এ স্লোগান নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের ভাওয়াল সম্মেলনকক্ষে গিয়ে শেষ হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালমা খাতুন। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন।বিআরটিএ সহকারী পরিচালক এস. এম. মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপ-সচিব) আহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোতাছেম বিল্যাহ, এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খ. ম.শরীফুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা কোনো ভাগ্যের বিষয় নয়; এটি সচেতনতার অভাবের ফল। চালকদের বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিং, অদক্ষতা, ওভারলোডিং এবং পথচারীদের আইন না মানার প্রবণতা দুর্ঘটনার মূল কারণ। নিরাপদ সড়ক গড়তে সবার দায়িত্বশীল আচরণ অপরিহার্য।
এসময় বিআরটিএর পক্ষ থেকে বৈধ কাগজপত্র ও লাইসেন্সধারী চালকদের মানসম্মত হেলমেট উপহার দেওয়া হয় এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
জনকল্যাণে প্রয়োজন সমন্বিত পদক্ষেপ ও করণীয় জরুরি বিষয় গুলোর মধ্যে ছিল---চালকদের প্রশিক্ষণ ও বিশ্রামের সুযোগ নিশ্চিত করা, ওভারলোডিং ও বেপরোয়া ওভারটেকিং বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ, স্কুল, কলেজ ও কর্মস্থলে ট্রাফিক সচেতনতা শিক্ষা চালু করা, প্রযুক্তিনির্ভর ট্রাফিক মনিটরিং ব্যবস্থা সম্প্রসারণ, জনসম্পৃক্ত সড়ক নিরাপত্তা কমিটি গঠন, নিরাপদ সড়ক গড়তে শুধু প্রশাসন নয়, প্রয়োজন চালক, যাত্রী ও পথচারীর সম্মিলিত সচেতনতা ও হেলমেট, সিটবেল্ট, ট্রাফিক আইন, এগুলো মানলে বাঁচবে জীবন, সুরক্ষিত থাকবে পরিবার, এবং নিরাপদ হবে দেশ।
আপনার মতামত লিখুন :