গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ভেতরে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক দ্বন্দ্বে চরম অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার (পিএসও) পদে পদোন্নতিকে ঘিরে বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র বিভাজন তৈরি হয়েছে,স্থবির হয়ে পড়েছে গবেষণা কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল আড়াইটায় মহাপরিচালকের সভাকক্ষে ডিপিসি কমিটির বৈঠকে সাতজনকে পদোন্নতির প্রস্তাব আলোচনায় আসছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, তালিকায় স্থান পেয়েছেন ‘ফ্যাসিস্ট আমলের সুবিধাভোগীরা’। এ নিয়ে ছয়জন জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযোগকারীদের দাবি, রাজনৈতিক আনুগত্যই এখন পদোন্নতির যোগ্যতা হয়ে গেছে। এতে গবেষণা ব্যাহত ও মনোবল ভেঙে পড়ছে।
অন্যদিকে বিতর্কিত কর্মকর্তা ড. হাবিবুর রহমান (মুকুল)-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতির তালিকায় নাম আসায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
ব্রি’র অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে গবেষণার চেয়ে পদোন্নতি রাজনীতিই বড় ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। কর্মকর্তারা বিভক্ত, ল্যাবের কাজ প্রায় বন্ধ।
এমন প্রেক্ষাপটে মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেছেন, বিজ্ঞানীরা যদি পদোন্নতি নিতে না চান, আমি জোর করতে পারি না। ন্যায়সংগতভাবে শুনব এবং সমাধানের পথ খুঁজব। ব্রি-তে যোগ্যতা ও শৃঙ্খলাই প্রাধান্য পাবে।
প্রশাসনের অনেকে ডিজির এই অবস্থানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, পদোন্নতি সভাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে, যে কোনো সময় ব্রি প্রাঙ্গণে ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি।
সর্বশেষে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ব্রি যদি দ্রুত দলীয় প্রভাবমুক্ত হয়ে গবেষণাকেন্দ্রিক পরিবেশে ফিরতে না পারে, তবে দেশের ধান গবেষণার সাফল্য থমকে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :